অবতক খবর,১৪ জুলাইঃ বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া ব্লকের ইছামতি নদীর উপর লক্ষীনাথপুর ও ফরিদকাটির মধ্যে ২৪ কোটি টাকা ব্যায় ২৬৪ ফুট লম্বা ও ১৮ ফুট চওড়া ব্রীজ। ২০১৭ সালে সেই সেতুর কাজ সম্পন্ন হলেও ব্রিজের প্রশস্ত রাস্তার জন্য জমি জট ছিল। ব্রিজের মাঝখান থেকে বাদুড়িয়া বাজার পর্যন্ত ১৫ একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে সাড়ে দশ একর জমি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। সাড়ে চার একর জমি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল।
সেই সমস্যা দ্রুত মেটাতে বুধবার বাদুড়িয়া পৌরসভার কমিউনিটি হলে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা শাসক শরৎ কুমার দ্বিবেদী, উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের পূর্তের কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বুরহানুল মুকাদ্দিম, বাদুড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপঙ্কর ভট্টাচার্য্য, বসিরহাটের মহকুমা শাসক মৌসম মুখার্জি সহ জেলার পূর্ত ও সড়ক বিভাগের আধিকারিকরা বৈঠক করেন জমিদাতাদের সঙ্গে। এদিন জমিদাতাদের সঙ্গে বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় যে সেখানে তাদের সঠিক জমির মূল্য দিয়ে সরকার তা অধিগ্রহন করে নতুন ১.৯ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করবে।
জেলাশাসক জানান, চলতি বছরের নভেম্বর মাস থেকে রাস্তার কাজ শুরু হবে এবং দেড় বছরের মধ্যে সেই কাজ সম্পন্ন হয়ে ব্রিজ সম্পূর্ণ ভাবে চালু হবে। নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত জমি জট কাটিয়ে ও রাস্তা তৈরি করে মানুষের জন্য এই সেতু উদ্বোধন করা হবে।
ফলে একদিকে বসিরহাট ও বাদুড়িয়ার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব কমবে। পাশাপাশি ভারতের দ্বিতীয়তম বৃহত্তম স্থলবন্দর ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত যেখানে প্রতিদিন প্রায় হাজারখানেক পণ্যবাহী ট্রাকের আনাগোনা হয় তারও এক বিকল্প পথ তৈরি হবে। অন্যদিকে বাদুড়িয়ার দুই ভূখণ্ড এই সেতুর দৌলতে যুক্ত হবে। এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়ায় খুশির হাওয়া জমিদাতা থেকে শুরু করে বাদুড়িয়ার বাসিন্দাদের মধ্যে।