অবতক খবর, অভিষেক দাস, মালদা :: ৭২ঘন্টা ধরে ধর্ণায় বসে রয়েছেন প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়ির সামনে স্ত্রীর মর্যদা পাওয়ার দাবী নিয়ে । ঘটনাটি মালদা জেলার রতুয়া-১ ব্লকের সামসীর সাহাড়াতলায়।এহেন ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ধর্ণারত প্রেমিকার নাম নাসিমা খাতুন। তাঁর বাবার বাড়ি রতুয়া-২ ব্লকের সম্বলপুর টাল গ্রামে।সে সামসী সীতাদেবী গার্লস স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশুনা করে।পড়াশুনার সূত্রে সামসী এলাকায় এক মেস বাড়িতে ভাড়া থাকতো। গত আট মাস আগে সামসীর সাহাড়াতলার যুবক মহম্মদ সাহেবের সঙ্গে পরিচয় হয়। ।প্রথম আলাপেই একে অপরের ফোন নম্বর দেওয়া নেওয়াও হয়।এরপর নিয়মিত ফোনে কথা হতে থাকে।পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত দুই মাস আগে(২১/০৭/২০২০)মুসলিম বিবাহ আইনে ও শরীয়ত মতে বিয়ে হয় বলে দাবী করে নাসিমা।কিন্তু সাহেবের পরিবারের পক্ষ থেকে এই বিয়ে মেনে নেওয়া হয় নি। ।

বরং তাঁদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এবার নিরুপায় হয়ে মহম্মদ সাহেব নতুন বউ নিয়ে সামসীর কুশরাক্ষা গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। পনেরো দিন সেইখানেই থাকেন।তারপর সেখান থেকে সামসীর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এক ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।কুরবানির ঈদে সম্বলপুর টাল বাবার বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে যানও।ঈদের উপহার হিসেবে আমার বাবা নতুন জামাই সাহেবকে একটি সোনার আংটি ও নগদ কুড়ি হাজার টাকাও দেন।

নাসিমা খাতুন আরো জানান,সামসীতে ভাড়া বাড়িতে থাকা কালীন আমাকে রেখে দু-চারদিনের জন্য ভাড়া বাড়ি থেকে পালিয়ে যান মহম্মদ সাহেব।তারপর থেকে ফোনও ধরেনি সাহেব।কয়েকদিন পর আমাকে তালাক দেওয়ার করার কথা বলেন স্বামী সাহেব।স্বামী তাকে সাফ জানায়,যেহেতু এই বিয়ে বাড়ির লোকজন মেনে নেয়নি তাই তোমাকে আর রাখা যাবে না। তারপর দিন মহম্মদ সাহেব আমাকে বাবার বাড়ি সম্বলপুরে রেখে আসেন।

নাসিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন,আমাকে বাবার বাড়িতে রেখে আসার পর তেমন আর যোগাযোগ রাখেননি মহম্মদ সাহেব। এরপর জানা যায় সাহেবের পরিবার অন্যত্র বিয়ে করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।সাহেবের বিয়েও ঠিক হয়ে গেছে বলে নাসিমা জানান।এই খবর পাওয়া মাত্রেই স্ত্রীর মর্যদার পাওয়ার দাবি নিয়ে সোমবার শশুরবাড়ি সাহাড়াতলায় ছুটে আসেন। কিন্তু শশুর বাড়িতে উঠতে গেলে শশুরবাড়ির লোকজন বাঁধা দেন। তাই স্বামীর অধিকারের দাবিতে শশুর বাড়িতে ধর্না অবস্থানে বসে পড়ি।ধর্নায় বসার আগে বিষয়টি সামসী ফাঁড়ির পুলিশকেও জানায়।