অবতক খবর, সংবাদদাতা :: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার এই স্বাস্থ সাথী কার্ড কে নিয়ে কতরকম কটূক্তি করেছিল বিজেপি। তারা বলেছিলো এটি একটি ভাওতা। কার্ডে কোনো চিকিৎসায়ী নাকি পাওয়া যাবেনা কিন্তু বিজেপি নেতাদের সব দাবি ও অভিযোগকে ভুল প্রমান করে দিয়ে সি এম সি ভেলোরে এই স্বাস্থ সাথী কার্ডের মাধ্যমে এক্কেবারে বিনা মূল্যে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরলেন গারুলিয়ার জুট মিলের শ্রমিক পরিবারের মহিলা। বিনা মূল্যে চিকিৎসা পেয়ে তিনি ভীষণ খুশি। ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভেলোর সি এম সি থেকে ফুসফুসের টিউমার অপারেশন করে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা শীলা সাধ্য।
গারুলিয়া পৌরসভার অন্তর্গত লেলিন নগরের বাসিন্দা বছর ৫৩র শীলা সাধ্য বেশ কয়েক বছর ধরে ব্রেস্ট ক্যান্সারে ভুগছিলেন এবং তার চিকিৎসা চলছিল ভেলোরে। এর আগেও ভেলোর থেকেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারনে তার ওপর অস্ত্রপচার করা হয়। তবে মাঝে লক ডাউনের কারনে প্রায় ১ বছর বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা চলছিল শীলা দেবীর, লক ডাউন উঠলে মার্চ মাসে শীলা দেবীকে তার পরিবারের লোক ফের ভেলোর নিয়ে যান চেকাপ করাতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা শুরু হলে শীলা দেবীর ফুসফুসে টিউমার ধরা পরে। সেই টিউমারের ধরা পরতেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকরা সেটি অপারেশনের পরামর্শ দেন। তবে সেই অপারেশনে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খরচ হবে যেনে পিছিয়ে আসেন তার পরিবার।
শীলা দেবীর স্বামী পেশায় একজন জুট মিল কর্মী, তাই তার পক্ষে এই ব্যায়ভার ওঠানো সম্ভব ছিলো না। তখন ভেলরের চিকিৎসকরা তাকে পশ্চিমবঙ্গ বাসী হওয়ার জন্য তিনি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে ভেলরে চিকিৎসা করাতে পারবেন বলে পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে তার কার্ড টি চেক করে চিকিৎসকরা জানান যে তাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ৫ লাখ টাকা আছে। তাই খুব সহজে ও বিনা ব্যায়ে অপারেশন করা সম্ভব হবে। এরপর ভেলরে সফলভাবে সম্পন্ন হয় শীলা দেবীর ফুসফুসের টিউমার অপারেশন।
বর্তমানে শীলা সাধ্য সুস্থ্য হয়ে তার স্বামী চন্দন সাধ্যর সাথে তার লেনিন নগরের বাড়িতে ফিরে আসেন,শীঘ্রই তার কেমো শুরু হবে যার খরচ ও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে থাকা বাকি টাকা থেকেই দেওয়া সম্ভব হবে বলে শীলা দেবীর পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড টি থেকে উপকৃত হয়ে শীলা দেবীর স্বামী চন্দন বাবু জানান “শুধু আমি নই ভেলরে এমন অনেক গরীব মানুষ পশ্চিমবঙ্গ থেকে গেছেন যারা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাচ্ছেন, সুস্থ্য হয়ে রাজ্যে ফিরে আসছেন আমাদের মত। এর জন্য আমাদের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি প্রক্লপের জন্য।”