অবতক খবর,১৫ সেপ্টেম্বর,মালদা:- হবিবপুর থানার ঐতিহাসিক জগজীবনপুর এলাকায় সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন। জগজীবনপুরের বৌদ্ধবিহারের বেহাল পরিকাঠামো।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, পুরাতত্ত্ব বিভাগ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত খনন কার্য করা হয়েছিল। তারপরে কাজ থেমে গেছে। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মঠ হিসাবে উল্লেখিত রয়েছে মালদার জগজীবনপুর । পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জগজীবনপুরকে যদি আরো সুন্দরভাবে সাজানো হয়। তাহলে এলাকার মানুষের যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে, ঠিক তেমনি দেশজুড়ে সুনাম ছড়াবে মালদার হবিবপুরের এমনই দাবি এলাকার বাসিন্দাদের।
জগজীবনপুরের বৌদ্ধবিহার নিদর্শন কেন্দ্রটি উদ্ধার হয়েছে। সেখানে আগে আট থেকে নয়টি পরিবার বসবাস করতেন। ১৯৮৫ সালে মাটি কাটতে গিয়েই বৌদ্ধদের একটি তাম্রলিপি উদ্ধার হয় । সেই সময় হওয়া ওই তাম্রলিপ্ত পুরাতত্ত্ব বিভাগকে দেওয়া হয় । জানানো হয় প্রশাসনকে। ধীরে ধীরে পুরাতত্ত্ব বিভাগ জগজীবনপুরের ওই জায়গাটি নিয়ে গবেষনা শুরু করে । ১৯৮৫ সালে শেষের দিকে শুরু হয় খননকার্য । তারপরে ধীরে ধীরে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের এই নিদর্শন কেন্দ্র বেরিয়ে আসতে শুরু করে। দফাই দফায় এই খনন কার্যের কাজ ২০০৫ পর্যন্ত চলে। তারপরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
মালদা জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক স্থল জীবনপুরে সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাস্তা,পার্কিং, লাইট এন্ড সাউন্ড এবং হোমস্টে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।