অবতক খবর,১ জুন: একসময়ে হালিশহরে হালিশহর উৎসব হতো খুব জাঁকজমকভাবে। শহরবাসীর মন মাতাতে আসতেন বড় বড় শিল্পীরা। ঠিক সেইরকমই হালিশহর রামপ্রসাদ মাঠে ২০১৮ সালের ২৮শে জানুয়ারি হালিশহর উৎসবে এসেছিলেন কে.কে। সেই সময় হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন অংশুমান রায়।
এই হালিশহর উৎসব এখন অতীত। এই উৎসবে অনেক বড় বড় শিল্পীরা আসতেন। মানুষকে আনন্দ দিতেন। কিন্তু এই উৎসব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই আশাহত বীজপুরবাসী।
যাই হোক,যেদিন এসেছিলেন কে.কে সেদিন হালিশহর রামপ্রসাদ মাঠে পা ফেলার জায়গা নেই। তাঁকে দেখতে উপচে পড়েছে আট থেকে আশি সকলের ভিড়। তার গানের গায়কী জনতার সঙ্গে মিশে যাওয়া আবেগ উত্তেজনায় অন্য মাত্রা নেয়। তারুণ্য আপ্লুত। গায়কী ও আবেগ দুটো একসঙ্গে মিশে গেলে একজন গায়ক কিভাবে মানুষের মধ্যে সম্পর্কের সাম্রাজ্য বিস্তার করে আর নিজেই হয়ে ওঠে গান।মনে পড়ে তাঁর সেইসব গান।
তিনি বলেছিল, প্লাটফর্মে উঠলে শিল্পী কি অবস্থায় আছে সেটা বড় কথা নয়, শিল্প প্রদর্শন- পারফরম্যান্সটাই তার বড় কাজ। আর সেটা যেন চলে যায় গানপ্রেমী মানুষের মধ্যে তখন আর মাথার ভেতর গান আর শ্রোতা ছাড়া কিছুই থাকেনা।
গতকাল সন্ধ্যায় কলকাতার নজরুল মঞ্চে দর্শকদের নিজের গায়কী দিয়ে শেষবারের মতো মাতিয়ে চির বিদায় নিলেন তিনি।
এই শোক সংবাদে মর্মাহত গোটা বীজপুরের সঙ্গীতপ্রেমীরা।