অবতক খবর,৪ অক্টোবর,চাঁচল:সানু ইসলামঃ হাসপাতালের মহিলা এবং পুরুষ ওয়ার্ড এ থৈ থৈ করছে জল, বেডের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে উচ্ছিষ্ট খাবার নোংরা আবর্জনা। এরই মাঝে চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা। টানা তিন দিন ধরে সাফাই কর্মীদের কর্ম বিরতির জেরে অচল অবস্থা, মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। বাধ্য হয়ে বুধবার হাসপাতাল সুপারের দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন হাসপাতালে আশা রোগীর পরিবার সহ পরিজনেরা। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদায়ের চাঁচল সুপারস্পেস্যালিটি হাসপাতালে।

নির্ধারিত সময়ে ঢুকছে না বেতন। সাথে বেশ কয়েক মাস ধরে বেতনের অংশ থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে টাকা। একাধিক সমস্যায় জর্জরিত চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা।বেতন কাটার প্রতিবাদ করতে গেলে এক সাফাই কর্মী কে বরখাস্ত করার অভিযোগ হাসপাতাল সহকারী সুপারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার থেকে সমস্যা সমাধানের দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে বিক্ষোভ অনড় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা। অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী, সাফাই কর্মী এবং নিরাপত্তা রক্ষী। ১৫১ জন কর্মীর বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকা। কি কারনে সেই টাকা কাটলো তার সদুত্তর দিতে পারিনি সংশ্লিষ্ট এজেন্সি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উপরন্ত প্রতিবাদ করতে গেলে সাফাই কর্মীদের বরখাস্ত করার অভিযোগ হাসপাতালের সহকারী সুপারের বিরুদ্ধে যার জেরে টানা দুদিন ধরে অস্থায়ী কর্মীরা কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতীর ডাক দিয়েছেন। অস্থায়ী কর্মীদের কর্ম বিরতিতে অচল অবস্থা দেখা গেছে হাসপাতালে। হাসপাতালের পুরুষ মহিলা ওয়ার্ড সহ সর্বত্র জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নোংরা আবর্জনা, থৈথৈ করছে ওয়ার্ডে জল। পরিষ্কার না হওয়ার কারণে শৌচালয় নোংরা, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ ।এরই মাঝে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। দুর্গন্ধে টেকা দেয় রোগীদের, জার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার সকালে হাসপাতাল সুপারের দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর পরিবার সহ পরিজনেরা। রোগীর পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ, একাধিক সমস্যা হাসপাতালে। তিন দিন ধরে পরিষ্কার হচ্ছে না হাসপাতালে মহিলা পুরুষ ওয়ার্ড। থৈ থৈ করছে জল l রোগীরা চিকিৎসা নিতে কি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই আজ আমরা সুপারের দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি অবিলম্বে হাসপাতাল পরিষ্কার করা হোক।

এই ঘটনাই নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছেন হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মীরা। চাচোল সুপারস্পেস্যালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা জানান যতক্ষণ না আমাদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হচ্ছে আমরা আমাদের দাবিতে অনর থাকবো। আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব। বুঝতে পারছি মানুষের অসুবিধা হচ্ছে কিন্তু আমাদের অসুবিধা মানুষকে বুঝতে হবে।

যদিও চাচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ড: শামীম আখতার বলেন, অস্থায়ী কর্মীদের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মাঝে বিপাকে পড়েছেন রোগীর সহ রুগীর পরিজনের। সুপার সহকারী সুপাররা আমরা নিজেরা সাফাই এর কাজে হাত লাগিয়েছি।সমগ্র ঘটনার সামনে আসতেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পাল্টা সমাধানের আশ্বাস তৃণমূলের।