অবতক খবর,২৬ অক্টোবর,বালুরঘাট: হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বৈধভাবে মানুষ পারাপারের দাবিতে সরব হল স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। রাজ্যের অনান্য ভারত-বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে মানুষ পারাপার স্বাভাবিক থাকলেও এই বর্ডারের ক্ষেত্রে অন্য নিয়ম কেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। পাসপোর্ট ভিসার মাধ্যমে দ্রুত হিলির ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুদেশের মানুষদের যাতায়াত স্বাভাবিক করার দাবি।
জানা গিয়েছে, দক্ষিন দিনাজপুর জেলার তিনদিকে ঘেরা ২৫২ কিলোমিটার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত। জেলার মধ্যে হিলি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন এলাকা। আন্তর্জাতিক আমদানী ও রফতানি বানিজ্য তো বটেই, হিলির ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে চলে দুই দেশের মানুষের সরাসরি যোগাযোগ। কিন্ত করোনার শুরু অর্থাৎ ২৩ মার্চ ২০২০ সাল থেকে এই ইমিগ্রেশান চেক পোস্ট দিয়ে দুপারের মানুষের যাতায়াত বা সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ। হিলির অন্যতম ব্যবসায়ী আশুতোষ সাহা বলেন, আগে এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট ভিসার মাধ্যমে একদেশের মানুষ আরেক দেশে যেত।
প্রতিদিন অন্তত সাত শতাধিক মানুষের এই যাতায়াতে এলাকায় ছোটবড় ব্যবসাবানিজ্য চলত। পূজার সময় এই যাতায়াত হত প্রতিদিন এক হাজারের বেশি। আন্তর্জাতিক আমদানি রফতানি বানিজ্যর কারণে এপারে ব্যবসায়ীদের ওপারে যেতে হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ ভারতে আসত চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে। কিন্ত সেগুলো সবটাই বন্ধ। ফলে দুইদেশের মানুষের আর্থিক, সামাজিক সহ প্রচুর সমস্যা তৈরি হয়েছে। দ্রুত এই চেকপোস্ট দিয়ে বৈধভাবে দুদেশের মানুষের সরাসরি যোগাযোগ চালু করার দাবি আমাদের।