অবতক খবর ,সংবাদদাতা, হুগলি :: একদিকে যখন উমা কৈলাসে পাড়ি দিয়েছেন ঠিক সেসময় বাঙালির মনে বিষাদের সুর আর ঠিক এই সময় হুগলি জেলার ঐতিহাসিক ছোট শহর বাঁশবেড়িয়া তে কার্তিক পুজোর ঢাকে কাঠি পড়লো। কার্তিক পুজো মানেই হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়া সাহাগঞ্জের পুজোর সুনাম রয়েছে বহু বছর ধরেই। কার্তিক মাসের সংক্রান্তির দিন এই পুজো শুরু হয় তিন দিন ঠাকুর থাকার পর চার দিনের দিন সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত শোভাযাত্রা সহকারে নিরঞ্জন চলে।
তবে এবছর বিসর্জন হবে কিনা তা পুজো কমিটির সঙ্গে আলোচনা হয়নি প্রশাশনের সঙ্গে। খুব তাড়াতাড়ি পুজো কমিটি গুলি দের আলোচনা হবে বলে জানা যায়। কোলকাতার দূর্গাপুজো,হাওড়ার খালনা ও নদিয়ার চাকদহের লক্ষ্মিপুজো, বারাসাত, নৈহাটি,পান্ডুয়ার কালিপুজো, কিংবা চনন্দনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মতোই বাঁশবেড়িয়া তে কার্তিক পুজো বিখ্যাত।
তবে এখানে দশমির দিন থেকে কাঠামো পুজো দিয়ে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়। এখানে শুধু কার্তিক পুজোয় নয় বিভিন্ন দেবদেবীর আরাধনা করা হয়।তেমন কার্তিক কে বহু রুপের পাশাপাশি গনেশ, নটরাজ, মহাদেব,নারায়ন, হনুমান, রাধাকৃষ্ণ,তারামা সহ বিভিন্ন দেব দেবীর পুজো করা হয় এখানে।তবে এবারে সাস্হ বিধি ও সরকারি নির্দেশ মেনেই সব পুজো হবে।
বাঁশবেড়িয়া মিলনপল্লী নটরাজ পুজো কমিটির খুঁটি পুজো হলো আজ ঢাক,কাঁসি, শঙ্ক ও উলুধ্বনি এবং পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারনের মধ্যে দিয়ে চলে পুজো পাঠ , পুজোতে উপস্থিত ছিলেন ওই পুজো কমিটির অন্যেতম সদ্যেসো সত্যরঞ্জন শিল সহ পুজো কমিটির সদস্যে সদ্যাসারা। তাঁদের এই পুজো বাষোট্রি বছরে পর্দাপন করতে চলেছে । এবার তাদের থিম ঢাকের অনুকরণে মন্ডব তৈরি হচ্ছে। পুজোর কটা দিন দর্শনার্থী দের জন্য সেনিটাইজার ও মাস্ক এর ব্যাবস্হা করা হচ্ছে। এখানে প্রায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দুশোটি পুজো হয়।