অবতক খবর,১১ আগস্ট,মলয় দে নদীয়া:- বছরখানে আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কালী নারায়ণ পুরের ১৭ বছর বয়সী এক নাবালিকার সাথে প্রণয় ঘটিত সম্পর্ক গড়ে ওঠে শান্তিপুর শহরের 18 নম্বর ওয়ার্ডের রাজপুত পাড়ালেন মাধব দাসের কুড়ি বছর বয়সী ছেলে মনিন্দ্র দাসের সাথে।
সম্প্রতি কয়েক মাস আগে ওই নাবালিকার সাবালিকা হতে দুমাস বাকি থাকতেই তারা বিবাহ করে দুদিন বাইরে থাকার পরেই ফিরে আসে শান্তিপুরের রাজপুত পড়ার মনিন্দ্র দাসের বাড়িতে। মনিন্দ্রর বাবা মাধব বাবুর অভিযোগ মেয়ে পক্ষ খবর পেয়ে বাড়িতে এসে চড়াও হয় মারধর করে মনিন্দ্রকেও, তবে প্রতিবেশীদের মধ্যস্থতায় আইন পর্যন্ত গড়াইনি বিষয়টি।
গ্রাম্য সালিশি সভার মধ্য দিয়ে ঠিক হয় ওই নাবালিকার বিবাহযোগ্য আইনি বয়স হতে মাত্র দুমাস বাকি তাই এই দুমাস মেয়ে তার বাপের বাড়িতে থাকবে কিন্তু দুমাস পরে অর্থাৎ শ্রাবণ মাসে তারা অনুষ্ঠান করে বিবাহ দেবে। এই মর্মে একটি ভিডিও রেকর্ডিং পর্যন্ত করা রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে মন মরা মনিন্দ্র প্রেমিকার ফটো বুকে নিয়েই রাতে ঘুমায়। সারাদিন তার চিন্তাভাবনায় থাকে মাথায়। কিন্তু শ্রাবণ মাস পেরিয়ে গেলেও মেয়ের মামা এবং তার পরিবার বিবাহতে বেঁকে বসে। সাফ জানিয়ে দেন এই বিয়ে হবে না। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলো মনিন্দ্র।
মনিন্দ্র বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সে থাকে তাদের পৈত্রিক বাড়ির পাশে একটি বাড়িতে গতকাল রাতেও খাওয়া দাওয়া করে শুতে গিয়েছিল এগারোটা নাগাদ কিন্তু আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করায় কাকিমার জেঠিমারা তাকে ডেকেও পায় না তখন সন্দেহজনকভাবে দরজা ভেঙে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে রয়েছে সে।
তবে হাতে সেই প্রেমিকার ছবি গতকাল রাতে ফোনে কথা বলেছে দুজনে তবে তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছে তা পরিবারের জানা নেই। তবে মনিন্দ্র র মা মামনি দাস বলেন এ বিষয়ে তিনি থানায় অভিযোগ জানাবেন ছেলেদের ক্ষেত্রে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অস্বীকার করলে কেস এবং সাজা হলে তার ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী মেয়ের পরিবারের এই সিদ্ধান্ত সেক্ষেত্রে সাজা হবে না কেনো?
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র রাজপুত পাড়ার জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সকলের প্রশ্ন একটাই মেয়েদের জন্য আইন থাকলেও একই আইন প্রযোজ্য হওয়া উচিত ছেলেদের ক্ষেত্রেও। কিন্তু সে সুদিন কবে আসবে! কবে বিচার পাবে! ছেলেহারানো পরিবার শোকস্তব্ধ পরিবার? এভাবে আর কত মনিন্দ্র প্রাণ যাবে?