সংবিধান, প্রজাতন্ত্র, লোকতন্ত্র, গণতন্ত্র কতসব ভারি ভারি কথা!
যে মানুষটি কাজ করে খাদানে, খনিতে, ভাটায় এ নিয়ে তার নেই কোন মাথাব্যথা।
৭১বছরের প্রজাতন্ত্র কতদূর যায়,
জাতীয় পতাকা আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যায়।
খুব জোরে, খুব জোরে উড়তে থাকে, একটি দণ্ডের মাথায়।

২৬শে জানুয়ারি
তমাল সাহা

২৬শে জানুয়ারি—
প্রজাতন্ত্র দিবস।
সংবিধান যায় গড়াগড়ি।

২৬শে জানুয়ারি—
তোমাদের জন্য
জাতীয় পতাকা নিয়ে
আমাদের কি হুড়োহুড়ি!

আমরা কারা?
তোমরা থাকো পেটে খিদে নিয়ে,
আমরা নেতারা পেল্লায় বাড়িতে,
তোমরা বাস্তুহারা।

২৬শে জানুয়ারি—
এখন যদি প্রশ্ন করি
কিসের জন্য এই জানুয়ারি?

২৬শে জানুয়ারি—
হাত তোলো, কে কে পেয়েছ
আস্তানা আশ্রয় বাড়ি?

২৬শে জানুয়ারি—
জোরে, আরো জোরে বলো,
কার কার ঘরে আছে ভাতের হাঁড়ি?

২৬শে জানুয়ারি—
প্রশ্ন করো,
আজও কেন দানখয়রতি
শীতবস্ত্র ধুতি আর শাড়ি?

২৬শে জানুয়ারি—
প্রশ্ন করো,
তুমি কানাকড়ি শূন্য,
কার ঘরে তোমার টাকা
রাখা আছে কাঁড়িকাঁড়ি?

২৬শে জানুয়ারি—
প্রশ্ন করো,
জল জমি জঙ্গল তো আমার,
কিন্তু কারা এর বিক্রয়কারী?

২৬শে জানুয়ারি—
পতাকা উড়ছে দড়ি বেঁধে উঁচুতে।
এটা কি কোন প্রতীক?
প্রজা আটকে গেছে ফাঁসে,
ঝুলছে গলায় দড়ি।

২৬শে জানুয়ারি—
জোরে, আরো জোরে বলো
বন্দে মাতরম! জয় হিন্দ !
খুব তাড়াতাড়ি।