অবতক খবর,২ অক্টোবর,চাঁচল: মহাসপ্তমীর উসা লগ্নে সিংহ বাহিনী পৌঁছলেন পাহাড়পুরের চণ্ডী মন্দিরে রাজকীয় শোভাযাত্রার আয়োজনে দেবী চণ্ডী চললেন। পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারন ঢাকের বাদ্যির ধ্বনিতে মুখরিত হলো গোটা শহর।
এই রীতির অনুসরণ আজকের নয় বিগত ৩০০বছরের পুরনো রীতি অনুযায়ী আজও চাঁচলে সিংহ বাহিনীকে সপ্তমীর উসা লগ্নে নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচলের পাহাড় পুরের চণ্ডী মন্দিরে।এর পরেই শুরু হয় সমগ্র চাঁচলে পুজো।তবে এই প্রথা ৩০০বছর আগে চাঁচলের রাজা রামচন্দ্র রায়চৌধুরী প্রথা প্রচলন করেছিলেন।
সেই থেকে আজও রাজার প্রাচীন প্রথা মেনে চাঁচলের রাজ ঠাকুর বাড়ি থেকে সপ্তমীর সকালে মহা শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে দেবী চণ্ডীর কোষ্ঠী পাথরের মূর্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচলের পাহাড়পুর চণ্ডী মন্দিরে। সেখানে চার দিন ধরে পুজিতা হবেন মা সিংহবাহিনী। অষ্টমীর সকালে পাহাড়পুর চণ্ডী মন্ডপে ভক্ত সমাগমে মুখরিত হবে গোটা মন্দির চত্বর। দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্তের আগমন ঘটে এই দিনে। অষ্টমীর পূজা শেষে রয়েছে কুমারি পুজো।
দশমীতে আবার চাঁচোল রাজার রাজবাড়িতে ফিরবেন মা সিংহ বাহিনী তারপর অন্নপ্রসাদ গ্রহণ করবেন তিনি।কথিত আছে, এক বার রাজা স্বপ্নাদেশ পান দেবী চণ্ডীর। সেই স্বপ্নাদেশে মহানন্দার ঘাটে স্নান করতে যান তিনি। সেই সময় তাঁর হাতে চতুর্ভুজা অষ্টধাতুনির্মিত মাতৃমূর্তি উঠে আসে।
প্রতিবছরই বিসর্জনের সময় মালদহের মরা মহানন্দা নদীর ওপারে থাকা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ লণ্ঠন নিয়ে পথ দেখান দুর্গাকে। সেই আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে নদীর পার। এর পরেই শুরু হয় ভাসান। চাঁচল রাজবাড়ির তিনশো বছরের এই পুজো সম্প্রীতির এক নিদর্শন।