অবতক খবর,১৬ ফেব্রুয়ারি : দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রাক্তন এই ফুটবলার। এ দিন দুপর ২.০৫-এ কলকাতার বেসরকারী হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। প্রয়াত দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রাক্তন এই ফুটবলার। এ দিন দুপর ২.০৫-এ কলকাতার বেসরকারী হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার। ভারতীয় ফুটবলের থ্রি মাস্কেটিয়ার্স বলা হত পিকে, চুনী, বলরামকে। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় আর চুনী গোস্বামী আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন। এ বার চলে গেলেন তুলসীদাস বলরাম। তাঁর জন্ম হয়েছিল হায়দরাবাদে। তবে হয়ে গিয়েছিলেন বাংলার ফুটবলার। এখানে বালিতে থাকতেন। ১৯৩৬ সালের ৪ অক্টোবর সেকেন্দ্রাবাদে জন্মেছিলেন। ১৯৫৪ সালে আর্মি কমব্যাট ফোর্সের হয়ে ফুটবল খেলা শুরু। এরপর হায়দরাবাদের রাইডার্স ক্লাবের হয়ে খেলতেন। সেখান থেকে যোগ দিয়েছিলেন হায়দরাবাদ সিটি পুলিসে। এরপরই খেলতে আসেন ইস্টবেঙ্গলে।

কলকাতা ময়দানে তুলসীদাসের পরিচিতি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থেকেই। সুনামের সঙ্গে এখানে ফুটবল খেলেছেন। ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলতেন। ময়দানে অসংখ্য গোল রয়েছে তাঁর পায়ে। ১৯৫৬ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় এই পাওয়ারফুল ফুটবলারের। ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে খেলেন। জাতীয় দলের জার্সিতে বেশ কয়েকটি গোল রয়েছে তাঁর। ১৯৬২ সালে জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিল ভারত। ফাইনালে জাপানকে ২-০ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন পিকে, চুনীরা। সেই দলেই ছিলেন তুলসীদাস বলরাম। ফাইনালে একটি গোলও করেছিলেন। তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধেও একটি গোল করেছিলেন বলরাম।

ভিন রাজ্যের ফুটবলার হলেও, বাংলার সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে ১৯৫৮ সালে আইএফএ শিল্ড জেতেন। বাংলার হয়েও সন্তোষ ট্রফি জেতার নজির রয়েছে তাঁর। ১৯৫৮, ১৯৫৯ এবং ১৯৬২ সালে বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি জেতানোর অন্যতম নায়ক ছিলেন বলরাম। ১৯৬১ সালে কলকাতা লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ময়দানে।

১৯৬২ সালে অর্জুন সম্মান পেয়েছিলেন তুলসীদাস বলরাম। তবে পদ্মশ্রী না পাওয়ার আক্ষেপ থেকে যাবে তাঁর। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল রাজ্য সরকার। বলরামের মৃত্যুর পর হাসপাতালে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শোক বার্তা দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়।