অকবির অক্ষমতা
তমাল সাহা
কি করবো আমি
কি লিখবো বলুন?
চুম্বন রটাবো সারারাত
স্খলন হবে বীর্যপাত?
অধিকার কেড়ে নেবে শাসক
চুপ থাকবো আমি এমনই মহাপাতক!
চোখের সামনে দেখে যাবো মানবতার অপমান
বারবার বলবো ভাষণে, মানুষ মহান!
মানুষ! মানুষ! রব পণ্য করে
দখল করবো ক্ষমতা।
শুনে যাব চিরকাল ক্লিশে এক বাক্য
মানুষের জন্য আমাদের মমতা।
আস্তিনে লুকোনো ছুরি
জামাঢাকা বুকের ভেতরে নির্মমতা।
ধর্ষিতা খুন,
ধর্ষিতার পিতা খুন।
কবিতা লিখুন, লিখে চলুন
পলাশে আগুন খুঁজুন—
এটাই নিরাপদ।
নিজেকে জড়ানো!
এসব এড়ানোই ভালো,
ভয়ানক বিপদ—
ঝুঁকি নেওয়া ভালো নয়
কখন কী হয়!
এতো সক্রিয়তা কি ভালো?
আমি ভীত ও অক্ষম শুনুন।
কে যেন বলে, ভীরু মন বোধ হয়!
একটু সামলে চলুন!
এই অকবিকে অপমান যত পারেন অপমান করুন!
হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যান—
প্রকাশ্যে করুন খুন।
জন্মভূমির মাটি রক্তে ভিজিয়ে
শোধ করি কিছুটা জন্মঋণ।
তবুও সুচেতনার বাতাস বয়ে যাক
আসুক সুদিন!