অবতকের প্রতিবেদন

রাষ্ট্র কতদূর যেতে পারে দেখুন। এখনই মনখারাপ করে সাজাচ্ছি এই বর্ণমালা। হাইকোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনের শুনানির আগেই মারা গিয়েছিলেন সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামী। প্রেমের কবিতা লিখবো, না দ্রোহের কবিতা?

সেই অগ্রণী মানবাধিকারকর্মী, সুপরিচিত সক্রিয় জনযোদ্ধা স্ট্যান স্বামীর আজ মৃত্যুদিন শহীদ দিবস

হাতকড়ি ও ডাণ্ডাবেড়ি
তমাল সাহা

এইভাবে লড়তে লড়তে
যিনি প্রাণ দেন তাকে কি বলে?
লড়াকু।
এইভাবে যুদ্ধ করতে করতে
যিনি জান দেন তাকে কি বলে?
যোদ্ধা।

তিনি রাষ্ট্রকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানালেন।
স্পষ্ট বললেন, আমি জনজাতি,
আমি আদিবাসী জনগণের পক্ষে
মানুষের অধিকার রক্ষায়
আমি যতদূর যেতে হয় যাবো।
তোমরা অস্ত্রবান রাষ্ট্রযন্ত্র হতে পারো
তাই বলে কি ভয় পাবো?

এনআইএ কি করতে পারে আমার?
জেলখানা কি জীবনের চেয়েও বড়ো!
তোমরা আমাকে আটক করো
আর গারদে পোরো, যাই করো
জনজাতি দলিতের পক্ষেই আমি দাঁড়াবো।

আমি তো অশিক্ষিত নই,
একটু আধটু লেখাপড়া জানি।
আমি তো গরিবের মাস্টার!
জানি, এদেশে আছে
ক’খানা রাষ্ট্রীয় কারাগার ও অস্ত্রাগার।

রাষ্ট্রের সুপরিকল্পিত চক্রান্ত—
নির্বিচারে করুক আমায় খুন।
জনজাতির চোখে চোখে বিলি হবে আগুন।
এখনো আমার লড়াই রইল জারি।
আমি প্রকম্পিত কন্ঠে বলে যাবো,
এই রাষ্ট্র ঘাতক,খুনি, মানব হত্যাকারী।

আর আমি?
এক– নকশাল-মাওবাদী
দুই– বীমা কোড়েগাঁও গণজমায়েতে দিয়েছিলাম নাকি উস্কানি!
মানে আমি মানুষের পক্ষে দাঁড়ানো আসামি।
আমি স্পষ্ট ঘোষণা করে যাই–
আমার নাম স্ট্যান স্বামী।

মাননীয় বিচারকবর্গ!
আমি তো আগেই বলেছিলাম
হাতকড়া পায়ের বেড়ি ভেঙে
আমি দেবো সুদূরে পাড়ি…
কোথায় গেল রে রাষ্ট্র!
কোথায় গেল রে তোর ভয়দেখানো
ইউএপিএ আইন জারি?

আজ আকাশ বাতাস শোকাচ্ছন্ন হলেও
আগুন জড়ো করছে যেন তাড়াতাড়ি!