অবতক খবর,১৩ ডিসেম্বর: পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ফুলের শহর নামে পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয় পাঁশকুড়ায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো শীতকালীন চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষ। যা অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে ছোট থেকে গাছের গ্রোথ বৃদ্ধি করা হয়। অন্যান্য ফুল গাছে চাষের জমিতে জল রাসায়নিক সার দিয়েই চাষ করা হয়। কিন্তু চন্দ্রমল্লিকা চাষে ভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষ করা হয় চন্দ্রমল্লিকা ফুল।
ইলেকট্রিক বিদ্যুতের মাধ্যমে বাল্ব জ্বালিয়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করা হয়। এক বিঘা জমিতে প্রায় একশটির উপর বাল্ব জ্বালানো হয় সন্ধ্যার পর। দিনের বেলায় সূর্যালোকে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া তৈরি করে চন্দ্রমল্লিকার চারাগাছ, তবে রাতের বেলায় আলো না পেয়ে তার গ্রোথ সঠিক সময় মত করতে পারে না যার ফলে ভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে ইলেকট্রিক বাল্ব জ্বালিয়ে আলো ও তাপের দ্বারা কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া শুরু করে চন্দ্রমল্লিকার গাছ। আর ধীরে ধীরে তার নির্দিষ্ট সময় মতো গাছের বৃদ্ধি হয়, নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী ফুলের কলি ফোটে, তার পরেই পাপড়ি মেলে ধরে চন্দ্রমল্লিকা। প্রায় দুতিন ধরনের চন্দ্রমল্লিকা ফুল ফুটতে দেখা যায়। বিঘারপুর দীঘা জমি ইলেকট্রিক আলোর মাধ্যমে চাষ করা হয় চন্দ্রমল্লিকা। আর রাতের বেলায় তা যেন আলোর মেলা রূপ নেয় এই চাষ।
এই চন্দ্রমল্লিকার চাহিদা ব্যাপকভাবে রয়েছে ফুল বাজারে, শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয় রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে প্যাকেটিং হয়ে পাড়ি দেয় এই চন্দ্রমল্লিকা। তবে এই বাল্ব জ্বালিয়ে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করতে গেলে চাষীদের এগ্রিকালচার মিটারে বিল পেমেন্ট করতে হয়। এই চাষের পিছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয় চাষীদের। তবে কখনো লক্ষাধিক বা কখনো তার থেকেও কম মূল্যের লাভ পায় চাষিরা।