দাঙ্গায় নারীদের অবস্থা কোন দিকে যায়। ঘরে বাইরে নারীরা অসহায়, নিরুপায়। সমগ্র পরিবার তাকে ভাবায়…
অন্ধ তামস
তমাল সাহা
নারীদের নিয়ে লেখা তোমার কত কবিতা আমি পড়িয়াছি।
দেখিয়াছি মিশরীয় নারী নীল নদের ধারে।
কতসব সৌন্দর্য তাহাদের দেহের আধারে।
তুমি দেখিয়াছ মুখের কত কারুকাজ শ্রাবস্তীপুরে।
বেহুলার মুখ, সপ্তডিঙা মধুকর দেখিয়াছ চম্পক নগরে।
এইসব মুখ তুমি কোনদিনও দেখো নাই কোনোকালে।
শবনম রোশেনারা জাহানারা রোকেয়া এইসব নাম পাই নাই তোমার কবিতায়।
তাহারা এখন রহিয়াছে স্ত্রস্ত, ভয়ার্ত দিল্লির চাঁদবাগ,মৌজাপুরা,সিলমপুরে।
আমি তাহাদের মুখ দেখি বারংবার ভেসে ওঠে রাত্রির গভীরে।
দুচোখে স্বপ্নমাখা এইসব নারীরা কি করিবে এখন বড় অসহায়।
মুখে তাহাদের পড়িয়াছে শোকসন্তপ্ত ছায়া।
দৃষ্টি তাহাদের ছড়াতেছে দূরে,
খুঁজিতছে কী হবে উপায়?
খেটেখাওয়া রোদে পোড়া জলে ভেজা স্বামী তাহাদের মরিয়াছে দাঙ্গায়।
আধা সামরিক বাহিনীর টহলদারি বুটের শব্দ এখন সশব্দে পাড়া কাঁপায়।
মরিবার পর শ্রাদ্ধ শান্তি স্বস্ত্যয়ন—
রাষ্ট্রের কি বিশাল আয়োজন!
কি করিব আমি?
রাত জাগি বৃশ্চিক নক্ষত্র দেখি,দেখি কালপুরুষ, সপ্তর্ষিমণ্ডল আকাশ পাড়ায়।
দায়সারা বর্ণাক্ষর সাজাই গুণেগুণে
অন্ধ তামসের কবিতায়।