অবতক খবর,২ নভেম্বর: ডেকে ডেকে যারা কাত করে, তাদের কি বলে? ডাকাত। কাঁচরাপাড়ায় ডাকাতদের আস্তানা ছিল। বাবু ব্লক হার্নেট স্কুলের কাছে। অবশ্য অনেক আগে। তখন জায়গাটা বন-জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। এরা ছিল রঘু ডাকাতের শাগরেদ। মানে তখনকার মস্তান। শুনেছি সে সময় ডাকাতরা নারীদের ইজ্জত নিত না। শিশুদের হত্যা করত না। লুটপাট করে গরিব দুঃস্থদের সাহায্য করত।
এখন অবশ্য আধুনিক ডাকাত। পিস্তল, কারবাইনওয়ালা সব ডাকাত। মেয়েদের ধর্ষণ করা ডাকাত। ভোটে রিগিং করা ডাকাত। হাওলা-গাওলা প্রোমোটারি করা ডাকাত। ডাকাতের কত রকম ফের। আর রাজনীতি মার্কা ডাকাত তো আছেই। যাকগে ওসব।
নিম-ডাকাত কালীর গল্প বলি। ১৮০০ সালের কথা। এখানে একটা নিম গাছ ছিল। রঘুর শাগরেদ এই নিমগাছটাতে খুব করে সিঁদুর লেপে চন্দন লাগিয়ে পুজো করত। তারপর ডাকাতিতে বেরুত। তারা নাকি নরবলিও দিত। এখন অবশ্য সে নিম গাছ নেই। সে দিনও নেই। নিম গাছের কাণ্ডটি পড়েছিল বহুদিন। প্রায় ১০০ বছর আগের কথা। গোরক্ষপুর। উত্তর প্রদেশ। সেখান থেকে এক পন্ডিত বামুন এখানে এসে পড়লেন। সাধুর মতো তার স্বভাব। সঙ্গীতে তিনি ওস্তাদ। তিনি এখানে ছাউনি ফেললেন। আর গানওয়ালা হয়ে গেলেন। আশেপাশের মানুষজন বামুন মশাইকে একটা হারমোনিয়াম উপহার দিল। সেই থেকে ওস্তাদজি হয়ে গেলেন হারমোনিয়াম বাবা। তিনি নিম-ডাকাত কালীর স্থানটি সংস্কার করলেন। বেদি তৈরি করলেন। আর তামার ফলকে খোদিত করলেন দক্ষিণা কালীর মূর্তি। নিম গাছের কাণ্ডটিকে তামার ফলকের মাপমতো কেটে বসিয়ে দিলেন। তারপর এখানে ধীরে ধীরে গড়ে উঠলো পাকা মন্দির।
দারু খণ্ড থেকে হয়ে গেল কালী মন্দির। কালীপুজোয় এজন্যই কি মানুষজন দারু পান করে?
ছবিঃ মণি ভট্টাচার্য