অবতক-এর বিশেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি তিনি। এন আর সি এবং সি এ এ-র বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সোচ্চার-স্পর্ধিত কবি তিনি, চলচ্চিত্রে সঙ্গীত কথাকার, চিত্রশিল্পী তিনি। তাঁর প্রতিবাদী উচ্চারণ বাতাস কাঁপায়, মানুষের মুখে মুখে ফেরে, সংসদে ঝড় তোলে। সেই কবি রাহাত ইন্দোরি করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ আগস্ট মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন।
প্রতিবাদে সোচ্চার কবি রাহাত ইন্দোরিকে সামনে রেখে
রাহাত
তমাল সাহা
লক্ষ লক্ষ কবিতা লেখা হয়
রোজ দিনে রাতে।
কজন মানুষ বেঁচে ওঠে
তার আঘাতে।
কবিতাও আঘাত দেয়
দেয় অন্য অভিঘাত।
তোমার কবিতা
অন্যদের চেয়ে সম্পূর্ণ পৃথক
অনন্য উত্তাপ।
‘হিন্দুস্তান কারও বাপের নয়’
এত সহজ অথচ সাহসী উচ্চারণ–
মানুষ মন্ত্রের মতো
তাকে করেছে ধারণ।
কবিতায় প্রতিবাদ
কবিতা তো মানুষের।
যাপিত জীবন স্বাভাবিক
সে তো মানবিক
হোক না রাজনৈতিক।
লোকে তোমাকে বলে উর্দু কবি
তুমি নাকি লেখো উর্দুতে।
আমি তো খুঁজে পাই
নিজের সরবতা তাহাতে।
আরে, আমাকে ডাকছে তো মৃত্যু!
ডাকুক, তবুও যাব না।
এই দুনিয়ায় মানুষের
পাশে থাকবো না!
এ আবার হয় নাকি
আমি কি যেতে পারি
মানুষকে দিয়ে ফাঁকি!
কবি যায়, কবিতা থাকে।
কবি তো আসলে অক্ষর শব্দ বর্ণমালা
তা তো অবিনশ্বর
কোন্ করোনা মারবে তাকে!
রাহাত মানে স্বস্তি-আশ্রয়।
তোমার কলমে কি কালি ছিল,
ছিল তো আগুন!
প্রতিবাদ পেয়েছে প্রশ্রয়।