অবতক খবর,২৪ আগস্ট,মালদা: অবশেষে মুখ খুললেন চটুল নাচ কান্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। এই ধরনের বিতর্ক তুলে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর পিছনে বিরোধী দল কংগ্রেস ও বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেন ইংলিশজবাজারের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আনোয়ারুল হক।
এনিয়ে তিনি পুলিশের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। শোভানগরের তৃণমূল সভাপতি আনোয়ারুল হক জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠান তৃণমূলের ব্যানারে হয়নি। একটি এনজিও’র ব্যবস্থাপনায় কিছু যুবক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। আনোয়ারুল সাহেব সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন। আমন্ত্রণ পেয়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। এমন নাচ হবে তা তিনি জানতেন না। তা দেখে দু’-তিন মিনিট মঞ্চে ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা এক মাতাল দুষ্কৃতীকে মঞ্চে উঠিয়ে দেয়। ওই মাতাল যখন মঞ্চে টাকা ওড়াচ্ছিল তখন আমি তার প্রতিবাদ করি এবং অনুষ্ঠান বন্ধ করতে অনুরোধ জানাই। অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আনোয়ারুল আরও বলেন, “যে টাকা ওড়াচ্ছিল সেই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে আমি পুলিশের কাছে নালিশ জানিয়েছি।” উল্লেখ্য, মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবস পালন উপলক্ষে চটুল নাচের আসর বসানো হয়েছিল মালদার শোভানগরে। সেই মঞ্চে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন এবং নাচের আসরে টাকা ওড়ানো হয় বলে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ তোলা হয়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিতর্কের ঝড় ওঠে মালদার রাজনৈতিক মহলে। এবার নিজেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলে মালদহের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সভাপতি বলেন, “আগাগোড়াই এই পঞ্চায়েত কংগ্রেসের দখলে ছিল। আমি তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ার পর এলাকা থেকে কংগ্রেস ও বিজেপি মুছে গিয়েছে। তবে বিরোধীদের কিছু দালাল এলাকায় রয়েছে। তারা আমার ও আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ওই দিন মঞ্চে মাতাল উঠিয়ে দু’মিনিটের ভিডিও তুলে ষড়যন্ত্র করেছে। আমি দলকেও বিষয়টি জানিয়েছি।