অবতক খবর,১৯ মে,কলকাতা: গরু পাচার মামলায় আজ সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দিতে নিজাম প্যালেসে পৌঁছলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সকাল ৯টা নাগাদ দুটি গাড়ির কনভয় নিয়ে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে রওনা দেন অনুব্রত মণ্ডল। এর আগে বহুবার অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই একাধিকবার তলব করালেও অসুস্থতা-সহ বিভিন্ন কারণে তিনি গরহাজির ছিলেন। গতকাল তাঁর আইনজীবী মারফত ইমেল পাঠিয়ে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
তাঁর জন্য সাত পাতার ৩৬ প্রশ্নের তালিকাও তৈরি করেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা,এমনটাই সূত্রের খবর।
এদিন সময়ের আগেই সিবিআই দফতরে পৌঁছলেন তৃণমূল নেতা।নিজেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরে চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে সময়ের অনেক আগে নিজাম প্যালেসে ঢোকেন অনুব্রত মণ্ডল।
গরু পাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে বিএসএফের এক জওয়ানের। এই মামলাতেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হয়েছে বিকাশ মিশ্রাকে। ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট চলাকালীন এই মামলায় প্রথম নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। সে সময় তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত জানিয়ে হাজিরা এড়িয়েছিলেন। তারপর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় তিন বার নোটিস ইস্যু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় সোজা চলে গিয়েছিলেন এসএসকেএম। সপ্তাহখানেক চিকিৎসাধীন থাকার পর চিনার পার্কের বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। তারপর ফের তাঁকে তলব করে সিবিআই। তিনি পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন,চার সপ্তাহ পুরো বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। মে মাসের ২১ তারিখের পর তিনি যোগাযোগ করতে পারবেন। দেখা গেল ২১ মে আসার দিন দুয়েক আগেই তিনি সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেন আজ।