অবতক খবর,১০ আগস্ট: আজ ভোররাতে অভিযান চালিয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ এক গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া বধূর নাম পম্পা ঘোষ। তার বাড়ি নদীয়ার চাকদহে। তার স্বামী এসেছিলেন পুলিশের সাথে।

নাটকীয় ভাবে বর্ধমানের বাদামতলায় একটি ভঙ্গুর পুরনো বাড়িতে তার খোঁজ মেলে।তিনি অসুস্থ।

যে বাড়িতে ওই মহিলাকে পাওয়া যায় সেটি টালিগঞ্জের এক অভিনেতার বাড়ি হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।যদিও ওই মহিলার স্বামী বা মহিলা নিজে কারো নাম বলতে পারেন নি।
মহিলার স্বামী অর্ধেন্দু ঘোষের দেওয়া বিবরণ অনুসারে, ওই ভদ্রমহিলা বেশ কিছুদিন যাবৎ বাতের ব্যাথায় গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েছিলেন। এরপর গত ছমাস দশদিন আগে একটি চিঠি লিখে হটাৎ নিঁখোজ হয়ে যান।
তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি। গতকাল নাকি ওই মহিলা এক কাজের লোকের ফোন থেকে গোপনে তাকে ফোন করেন।

তার দাবি, দুজন লোক তাকে তুলে এনে বর্ধমানে ওই অভিনেতার বাড়িতে আটকে রাখে। সেখানে কিছু সন্দেহজনক লোক থাকে। তাদের আচরণে তার সন্দেহ হয়।তাকে বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে।

বাড়ি ফাঁকা থাকায় তিনি সুযোগ বুঝে স্বামীকে ফোন করেন।
অর্ধেন্দুবাবু এরপরে চাকদহ থানার পুলিশের শরণাপন্ন হন। চাকদহ এবং বর্ধমান থানার পুলিশ যৌথভাবে মহিলার সন্ধানে নামে।

বর্ধমান ও চাকদহ থানার পুলিশ ও মহিলা পুলিশ গভীর রাতে বাদামতলায় তল্লাশি চালায়। ওই মহিলাকে সেখানে পাওয়া যায়।

তিনি অসুস্থ থাকায় তার স্বামী কোলে করে তাকে পুলিশ ভ্যানে তোলেন।অভিযুক্ত কাউকেই পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই তাদের কোনো প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি।
বাড়ি থেকে এতদূরে গভীর রাতে এক মহিলাকে এক প্রায়ান্ধকার বাড়ি থেকে পাওয়া যাওয়ার রহস্য কী তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।