অবতাক খবর, সংবাদদাতা :: পশ্চিমবঙ্গে 30 ও 31 দু’দিনব্যাপী, বিজেপি নেতা অমিত শাহের সফরসূচির ব্যবস্থা এবং কর্মসূচি থাকলেও তিনি অবশেষে দিল্লি ইজরাইলি দূতাবাসের সামনে বোমা বিস্ফোরণের কারণে বাংলার সফর বাতিল করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আগমন নিয়ে দু চারদিন ধরে নদীয়া ও বনগাঁ এলাকাজুড়ে প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। বলা হয়েছে অমিত শাহ নাকি মতুয়াদের নাগরিকত্ব প্রদান করতে এই ঠাকুরনগরে আসছেন । এ নিয়ে ব্যাপক ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করেছিল বিজেপি কিন্তু শেষ অবধি তিনি আসছেন না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশেষে তার ঠাকুরনগরের সভায় উপস্থিত থাকবেন অমিত শাহ-এর বদলে মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
তবে মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে অনেকগুলো প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরে। কারণ বিজেপির পুরনো নেতারা বিশেষ করে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বাদ দিয়ে তৃণমূল থেকে যারা বেরিয়ে এসেছেন সেই নেতাদের গুরুত্ব দিয়েছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।তাতেই ক্ষোভ দলের অন্দরমহলে । পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয় বর্গীয় এখন বিজেপির কোন পুরোনো নেতাদের গুরুত্ব না দিয়ে তৃণমূল থেকে বেরিয়ে আসা এই দুই নেতাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, তাদেরকে নিয়েই সভায় অংশগ্রহণ করছেন এতে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে আগের রাজ্য নেতাদের গুরুত্ব অনেকটাই খাটো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত কয়েক মাস ধরেই মতুয়া মহাসঙ্ঘের অন্যতম নেতা ও বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের মেঠো নাগরিত্ব দেয়া নিয়ে সরব হয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি মঞ্চ থেকে তিনি সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপও দেগে ছিলেন কিন্তু পরবর্তীকালে সেই শান্তনু ঠাকুরকে বসিয়ে তার মান ভাঙাতে সফল হন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বর্তমানে সর্বভারতীয় বিজেপি সহ-সভাপতি মুকুল রায়। তাই শান্তনু ঠাকুরের সভাতে বিজেপি-র পুরোনো নেতাদের গুরুত্ব না দিয়ে নবাগত মুকুল ও শুভেন্দুর ওপর ভরসা করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতাদের দাবি ভুল প্রচার চালিয়ে ভিড় জমানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তাদেরকে জানানো হয়েছিল যে অমিত শাহ নাকি সকলকে নাগরিকত্ব প্রদান করতে ঠাকুরনগরের সভাতে আসছেন কিন্তু এটা একেবারে ডাহা মিথ্যে কথা।
নদীয়ার হরিণঘাটা বিধায়িকা নীলিমা নাগ জানান যে মতুয়ারা বুঝতে পেরেছেন যে তাদেরকে বিজেপি 2019 এ ভোট করে নেওয়ার জন্যই ভাঁওতা দিয়েছিল না গুরুত্ব দেওয়ার একটা অন্যরকম ভাঁওতা দিয়েছিল কিন্তু তারপরও তারা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল কিন্তু আবার ভোট এসেছে আবার তারা সেই নাগরিকত্বের সুড়সুড়ি দিয়ে মতুয়াদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছে কিন্তু মতুয়া সমাজ এবারকার সেই ভুল করবে না তারা বুঝতে পেরেছেন। অমিত শাহদের এই নাটক আর এই চক্রান্ত। নীলিমা দেবী আরো জানান বিজেপি সাংসদ এবং মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেতা শান্তনু ঠাকুর নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন তাদেরকে নিয়ে খেলা করছে বিজেপি। তাই এবার তারা সেই ভুলে পা দেবেন না।