অবতক খবর: গত শনিবার ছিল এরাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। ত্রিস্তরীয় বিকেন্দ্রীভুত শাসন ব্যবস্থায় জণগণ নিজেদের জন্য প্রতিনিধি বেছে নিতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। পুননির্বাচনেও অশান্তি যান পিছু ছাড়ছে না।
বীরভূমে ভোটারদের ‘বাধা’ দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নজিরবিহীন ভাবে বুথে এসে আতঙ্কে কেঁদে ফেলেন সিপিএম প্রার্থী। ময়ূরেশ্বরের ১৫৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের লোকজন ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছেন, এমনটাই অভিযোগ। সিপিএম প্রার্থী সাহিনা খাতুন এই প্রসঙ্গে বলেন, ভোটের পর তাঁকে মারধর করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্বামীকেও বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। সমস্ত অভিযোগ তৃণমূল অস্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, শনিবার ভোটের দিন এই বুথেই ব্যালট বাক্স পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল।
কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর দেওরের পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ধুবুলিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পণ্ডিতপুর গ্রামের একটি পাট ক্ষেতে সোমবার সকালে অষ্ট মন্ডলের (৩৭) দেহ উদ্ধার দেখতে পায় গ্রামবাসীরা। তিনি বিজেপি কর্মী। অভিযোগ উঠছে, তাঁকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠে আসছে কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
মুর্শিদাবাদের একাধিক বুথে সোমবার পুনর্নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া দেরিতে শুরু হয়েছে অভিযোগ সামনে এসেছে। অব্যবস্থার অভিযোগ এসেছে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। সামশেরগঞ্জ প্রসাদপুর এলাকার ১৩০ নম্বর বুথে ভোটকর্মীরা প্রায় দু’ঘণ্টা দেরি আসেন। অনেকে ভোট দিতে এসেও দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষার পর ফিরে গিয়েছেন। এ ছাড়া, বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল ডোমকলের একটি বুথে দীর্ঘক্ষণ । তবে জেলার প্রায় প্রতিটি বুথেই আঁটসাট নিরাপত্তা দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে, জয়নগরে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, হাচিমপুরের ৮০/১, ৮০/২ ও ৮১ নম্বর বুথে তৃণমূল, এসইউসিআই এবং নির্দল প্রার্থীদের তরফে সকাল থেকে ভোটারদের হাতপাখা, নানা রকমের খাবার এবং জল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের কর্মীরা গরমে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের হাতে হাতে তুলে দিয়েছেন হাতপাখা। এসইউসিআইয়ের তরফে ভোটারদের জন্য লুচি, আলুর তরকারিতে জলখাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া, নির্দল প্রার্থীর তরফে ভোটারদের দেওয়া হচ্ছে বিস্কুট এবং জলের বোতল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পুনর্নির্বাচনে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬.৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে। কোনও কোনও কেন্দ্রে ভোট শুরু হতে দেরি হয়েছে। কোথাও আতঙ্কে ঘর থেকে বেরোননি ভোটারেরা। অনেক কেন্দ্রে আবার রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে।