অবতক খবর, সংবাদদাতা, ১৭ ই মার্চ, নদীয়াঃ “মাস্টারমশাই আপনি কিছু শোনেননি” এ ভাষা ছিলো চৌত্রিশ বছরের,তৃনমুল সরকারে আসার পর সাধারণ মানুষের মতো মাস্টারমশাই রাও পার্টির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজের পাঠদানে ব্যাস্ত। কিন্তু হঠাৎ আগত মহামারী “কোরোনা” তে সারা দেশের সাথেও পশ্চিমবঙ্গ ও লড়াই করছে, তার নাগরিকদের বাঁচাতে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছেন।
আগামী ১৫ ই এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্দ। জননেত্রীর সিদ্ধান্ত এবং রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা প্রশংসিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায়। নিন্দুকেরাও ঢোঁক গিলে সরকারের দূরদর্শী পদক্ষেপ কে স্বাগত জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ তৃনমুল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি র সভাপতি অশোক রুদ্র তার সুদূরপ্রসারী চিন্তা ভাবনায় শ্রদ্ধেয় শিক্ষক দের আবার মাস্টারমশায় হয়ে গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।
নদীয়া জেলাতে আজ বর্ধিত জেলা কমিটির মিটিং এ এই “সব শোনে মাস্টারমশাই” কর্মসূচি র সূচনা করলেন জেলা শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত সাহা ও সাধারন সম্পাদক সন্টু ভদ্র। জয়ন্তবাবু বলেন তাঁরা এই আগত মহামারী “করোনা” সম্পর্কে সচেতন করতে ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি ছোটো ছোটো দল করে যাবেন। সন্টু বাবু জানান তারা লিফলেট দিয়ে ও তাদের ফোন নং বাচ্চাদের বাড়ি বাড়ি দিয়ে তাদের পড়াশোনা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় তাদের জানাতে অনুরোধ করবেন।
তৃনমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি ও রাজ্য প্রাথমিক ক্রীড়ার মুখ্য সংযোজক এবং জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবিদ অশোক রুদ্র বলেন আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো অধিকাংশ গ্রামে এবং আমাদের “মাস্টারমশাই ও দিদিমনি” রা সেই গ্রামের অভিভাবক ও আপনজন। বেশিরভাগ প্রাথমিক ছাত্র ছাত্রীরা গ্রামের প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে, তাদের কাছে কোনো গণমাধ্যম নেই এই মহমারি সম্পর্কে সচেতন করতে ও বিকল্প শিক্ষার ব্যাবস্থা করতে।
তাই তাদের জন্য আমাদের “সব শোনে মাস্টারমশাই”. নদীয়া তে শুরু করে আমরা সারা রাজ্যে একদম প্রান্তিক গ্রামেও আমাদের সংগঠনের শিক্ষক শিক্ষিকাদের পৌঁছে যেতে অনুরোধ করবো, ছোটো ছোটো দলে এবং অভিভাবকদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন করবো। আমরা তাদের লিফলেট দিয়ে বা কথা বলে সচেতন করবো ” করোনা” ভাইরাস থেকে কিভাবে সাবধানে থাকবে, কখন তাদের চিকিৎসার দরকার সম্পর্কে।
এছাড়াও অশোক বাবু ধন্যবাদ দেন নদীয়ার শিক্ষক নেতৃত্ব কে বিশেষত জয়ন্ত সাহা ও সন্টু ভদ্র কে এবং বিশ্বাস রাখেন সারা বাংলায় সমস্ত গ্রামের মাস্টারমশাই ও দিদিমনিরা তাদের প্রানপ্রিয় ছাত্র ছাত্রীদের সামাজিক দায়িত্বের জন্যই পৌঁছে যাবে এবং শিক্ষা ও সিলেবাস সম্পর্কে তাদেী কোনো সমস্যা থাকলে তা দূর করবে।