অবতক খবর,২৪ সেপ্টেম্বরঃ কাঁচরাপাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে গান্ধীমোড় অঞ্চল জুড়ে। এই মাইকিংয়ের একটাই উদ্দেশ্য,শহরের ফুটের ব্যবসায়ীরা যাতে কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর কথা রাখেন।
এক সময়ে গান্ধীমোড় সংলগ্ন অঞ্চলের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের তুলে বিবেকানন্দ মার্কেটে জায়গা দেওয়া হল। ঠিক একই পদ্ধতিতে গড়ে উঠেছিল কাঁচরাপাড়া আনন্দ বাজার,হকার্স কর্ণার সহ অন্যান্য মার্কেট। কিন্তু হকার্সের সংখ্যা কমেনি। বরং বেকারত্বের কারণে সেই সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
আর এই ফুটপাতের হকার্সদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন শহরের ব্যবসায়ীরা। কারণে তাদের কোন ইলেকট্রিক বিল দিতে হচ্ছে না,ট্যাক্স প্রদান করতে হচ্ছে না। অর্থাৎ তাদের কিছুই দিতে হচ্ছে না,অথচ তারা দিনের পর দিন ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর কোন না কোনভাবে এই ট্যাক্স এবং ইলেকট্রিক বিলের বোঝা চাপছে ব্যবসায়ীদের উপর।
ব্যবসায়ীরা জানান,এখন ট্যাক্সের পরিমাণ ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগেও তারা জানিয়েছিলেন যে,তারা এই ট্যাক্স প্রদান করবেন যদি এই হকারদের সমস্যা মেটে।
কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী কিছুদিন আগেই ফুটের ব্যবসায়ীদের নোটিশ দিয়ে জানিয়েছিলেন যে,তাদের ফুটপাত থেকে উঠতে হবে।
পরবর্তীতে ফুট ব্যবসায়ীরা চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ করেন যে,পুজোর কারণে তারা ধারদেনা করে অনেক টাকার মাল তুলেছেন। সেগুলো যাতে বিক্রি করার সময় দেওয়া হয়।
তাদের দিকটি বিবেচনা করে চেয়ারম্যান কমল অধিকারী তাদের কিছুদিন সময় দিয়েছিলেন।
তবে এবার মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হলো যে, চেয়ারম্যান তাদের কথা রেখেছেন। এবার তাদেরকে চেয়ারম্যানের কথা রাখতে হবে।
আগামী ২৮শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের উঠে যেতে হবে। অর্থাৎ ফুটপাতে আর কোনভাবেই কেউ বসতে পারবেন না। কাঁচরাপাড়া স্টেশন থেকে গান্ধীমোড়, থানার মোড় থেকে গান্ধীমোড় পর্যন্ত অঞ্চল হোক কিংবা গান্ধীমোড় থেকে লক্ষ্মী সিনেমা পর্যন্ত অঞ্চল, কোন হকার ফুটপাতে বসতে পারবে না।
কিন্তু একটি বিশেষ কথা রয়েছে পৌরপ্রধানের কি সে দিকে সবিশেষ নজর আছে? পুজোর মরশুম মানে আনন্দের মরশুম। স্টেশন থেকে বাগমোড় পর্যন্ত অঞ্চল শহরের কেন্দ্রীয় অঞ্চল। কবিগুরু রবীন্দ্রপথ মূলসড়ক। এই সড়কের দুই পাশেই বিশেষ দুর্গোৎসবগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিন্তু স্টেশন থেকে বাগমোড় পর্যন্ত যে অগুনতি বিশাল বিশাল তোরণদ্বার নির্মাণ করা হয়েছে তাতে রাস্তা সংকুচিত হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এই তোরণ নির্মাণের কারণে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মার খাচ্ছে, এই অভিযোগও তারা তুলেছেন। এই তোরণদ্বার নির্মাণের নির্দেশ বা আদেশ কে দিয়েছে? এতে জনসাধারণের পথ চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে পুজোর ভিড়ে আরো অসুবিধা হবে। জনসাধারণের জন্য পৌর পরিষেবার যে দায়িত্ব রয়েছে সে দিকটি পৌর প্রধান বিচার করেছেন কি?
জানা গেছে,ফুটপাতের হকার তোলা নিয়ে পৌর প্রধানের এই আদেশে ফুটপাত হকারদের মুখ ভার হলেও খুশি শহরের ব্যবসায়ীরা।