অবতক খবর,৪ মার্চ: বারাণসী থেকে ফেরার পথে আচমকাই ‘ডিসেন্ড’ মুখ্যমন্ত্রীর বিমানে। নির্দিষ্ট উচ্চতার থেকে বিমান নেমে যায় অনেকটাই নীচে! আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। কীভাবে এমনটা ঘটল? তা স্পষ্ট নয় এখনও।
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট চলছে। রাজ্যে যে পুরভোটের ফল ঘোষণা হয়, সেদিনই বারাণসীতে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধেয় বিমানবন্দর থেকে সন্ধ্যারতি দেখতে দশাশ্বমেধ ঘাটে যান তিনি। যাওয়ার পথে তৃণমূলনেত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। কালো পতাকা দেখানো হয় মমতাকে, উঠে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। এমনকী, বিক্ষোভ চলে দশাশ্বমেধ ঘাটেও। পাল্টা ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন সমাজবাদী পার্টির সমর্থকরা।গতকাল, বৃহস্পতিবার বারাণসীতে অখিলেশ যাদবের সমর্থনের সভা করেন মমতা। বলেন, ‘কাল কয়েকজন বিজেপি কর্মী আমার গাড়ি আটকেছিল। আমার গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল। আমাকে বলেছিল ফিরে যান। তখনই আমি বুঝেছি ওরা যাচ্ছে। ওদের বিদায় হচ্ছে। ওদের হার নিশ্চিত। আমি ভয় পাই না। আমি লড়তে জানি। সিপিএম আমাকে অনেক মেরেছে। গুলি চালিয়েছে। আমি মাথা নত করিনি’।
এদিন বারাণসী থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সূত্রের খবর, আকাশ তখন পরিষ্কারই ছিল। দমদমে নামার মিনিট দশেক আগে আচমকাই ‘ডিসেন্ড’ হয় মুখ্যমন্ত্রীর বিমানে। স্রেফ নির্দিষ্ট উচ্চতা অনেক নীচে নেমে যাওয়াই নয়, বিমানের ভিতরে ঝাঁকুনি অনুভব করেন যাত্রীরা। তবে, কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। দ্রুত পরিস্থিতি সামলে নেন পাইলট। শেষপর্যন্ত নিরাপদে দমদম বিমানবন্দরে নামে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। কিন্তু আকাশ পরিষ্কার থাকা সত্ত্বেও কেন এই বিপত্তি? মুখে কুলুপ DGCA কর্তাদের।