অবতক খবর,২৯ জুনঃ আজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী কংগ্রেস কার্যালয়ে বসে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুর্নীতি মুক্ত নির্বাচন গড়ে তোলার ডাক দিয়ে আজ কংগ্রেসের ইশতেহার প্রকাশ করলেন। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার এই পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে উন্নয়নের বিশাল অর্থ বরাদ্দ হয় । তিনি বলেন রাজীব গান্ধী যে পঞ্চায়েত রাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই পঞ্চায়েত রাজ ভারতবর্ষের মানুষকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা গ্রামবাংলায় সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গ্রামের অগ্রগতি এবং বিকাশ ঘটানো ছিল তার লক্ষ্য। মানুষের হাতে ক্ষমতা তুলে দাও শুধু একটা কেন্দ্রীয় সরকার পারেনা শুধু একটা রাজ্য সরকার সব পারেনা তাই পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তৃতীয় সরকার অর্থাৎ স্থানীয় সরকার রাহুল গান্ধীর স্বপ্ন মোতাবেক ভারতবর্ষে আর চালু হয়েছে।
অধীর চৌধুরী তিনি বলেন আজ আমরা আপনাদেরকে সাক্ষী রেখে এই ইশতেহার “হাত ধরো বাংলা গড়ো”বাংলার মানুষের কাছে প্রদান করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। অধীর চৌধুরী তিনি এই পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্বন্ধে বলেন দুর্ভাগ্য এই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুলি বোমা সন্ত্রাস খুনখারাবি ভারতবর্ষের লোক সমস্ত কিছু জানতে পারছে কিন্তু অন্যান্য রাজ্যেও সংবিধান অনুসারে পঞ্চায়েত ভোট হয় পঞ্চায়েত ভোট হয়ে যাওয়ার পর আমরা তা জানতে পারি কিন্তু এই বাংলায় শুরু হয় ফুল সন্ত্রাস বললেন অধীর চৌধুরী। অধীর বলে মানুষের তৃণমূলের প্রতি মোহভঙ্গ হচ্ছে চারিদিকে তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে যোগদান শুরু হয়েছে, আজকের সাধারণ কর্মীদের ভেতর তৃণমূলের হতাশা নিরাশা দেখা দিয়েছে। সেগুলি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আপনাদের মিডিয়া এবং কাগজে দেখা যাচ্ছে। তাই নতুন কিছু টোটকা দেয়ার জন্য মানুষের পয়সা খরচ করে তিনি দিল্লি চলে যাচ্ছেন।
এই দিল্লিতে সভা করতে যাওয়ার জন্য যে খরচ সেই টাকাকে যোগাবে অধীর আজ সেই প্রশ্ন তুললেন, তিনি বলেন আমরা তৃণমূল সরকারের কাছে তৃণমূল লোকদের কাছে জানতে চাই। রবীন্দ্র সদন থেকে একটি খবর প্রচার হয়েছিল তার উত্তরে তিনি বলেন আমি বলেছিলাম বকরিদের পর সারা বাংলা জুড়ে সন্ত্রাস বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল, তিনি আবার বলেন ঈদের পর বাংলা জুড়ে সন্ত্রাস করার প্রবণতা বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছি আমার কর্মীদের সামনে। তিনি বলেন খবর বিকৃত করার চেষ্টা করে কোন লাভ নেই সমস্ত বক্তব্য আমার রেকর্ডে বলে তিনি জানান