অবতক খবর,৫ ডিসেম্বর: শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় জওয়াদ। আজ দুপুর নাগাদ তা পুরীর কাছে ওড়িশা উপকূলে পৌঁছবে। বর্তমানে বিশাখাপত্তনম থেকে ১৮০, গোপালপুর থেকে ২০০, পুরী থেকে ২৭০ ও পারাদ্বীপ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ওড়িশা উপকূল ধরে বাংলার দিকে এগোলেও আগামী ১২ ঘণ্টায় ক্রমশ দুর্বল হবে নিম্নচাপ। যদিও এর প্রভাবে গতকাল থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের দু’-এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। সোমবারও বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মত্স্যজীবীদের।
ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে কালো আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার ধান চাষিরা। কারণ, এখনও পুরোপুরি ঘরে তোলা যায়নি পাকা ধান। ফলে বৃষ্টির জলে ফসল নষ্টের আশঙ্কা প্রতি পদে। এই অবস্থায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে, ঘুম উড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের কৃষকদেরও। জওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায়, মাঠের ফসল মাঠেই মারা যেতে বসেছে। তবে প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, চাষে ক্ষতি হলে তা মেটানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য, দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের তরফে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় খোলা হয়েছে ৪২টি ত্রাণ শিবির। ১১৫টি সাইক্লোন সেন্টার তৈরি রাখা হয়েছে উপকূলবর্তী এই জেলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৪ হাজার ৩৭৫ জনকে সরানো হয়েছে। মেগা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে কাকদ্বীপ মহকুমাশাসকের অফিস। নিরন্তর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে পরিস্থিতির।
উপকূল লাগোয়া পর্যটনকেন্দ্র বকখালিতে ধরা পড়েছে তৎপরতার ছবি। উপকূলবর্তী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে চালানো হয় প্রচার। নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ রায় বলেছেন, আমরা সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতিমধ্যে অনেককে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে।