অবতক খবর,১৫ জুলাই,মলয় দে নদীয়া:- শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর আসার আগের স্টেশন বাথনা কৃত্তিবাস। আগে হল্ট থাকলেও, বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ স্টেশনের রূপ পেয়েছে সেখানে আপ এবং ডাউনের ট্রেন বাদে দাঁড়ায় প্রায় সব কটি। রয়েছে টিকিট কাউন্টারও তবে অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিন কিংবা ম্যানুয়াল টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা কোনটাই নেই, সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে তারিখ বিহীন কিছু নির্দিষ্ট টিকিট বৈধভাবেই রেলকর্মীরা ওই টিকিট কাউন্টার থেকে দিয়ে থাকেন।

শিয়ালদহ যাওয়ার ব্যারাকপুর নৈহাটি চাকদা এ ধরনের কয়েকটি স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার টিকিট রয়েছে ভাড়ার তারতম্য অনুসারে অর্থাৎ নৈহাটি যেতে যে ভাড়া লাগে ওই একই ভাড়াতে পরবর্তী দু-তিন স্টেশন পৌছাতে যদি একই ভাড়ার স্ল্যাব থাকে তাহলে সকলকেই ওই নৈহাটিরই টিকিট দেওয়া হয়। তবে সেক্ষেত্রে টিকিটে তারিখ উল্লেখ না থাকলেও বাথনা স্টেশন থেকে একটি স্টাম্প মেরে দেওয়া হয় যেখানে তারিখ উল্লেখ থাকে। এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার যাত্রীরা বিতর্কে জড়িয়েছেন টিকিট পরীক্ষক দের সাথে। নিত্য যাত্রীরা অভিযোগ করলেন কোন কোন দিন গন্তব্যের টিকিট না পেয়ে বাধ্যতামূলক তার থেকে দূরবর্তী কোন স্টেশনের টিকিট কাটতে বাধ্য হন তারা। স্থানীয় যাত্রীরা অভিযোগ জানালেন কোনো কোনো ক্ষেত্রে, ট্রেন আসার আগে সময় ঠিকমতো কাউন্টার খোলেন না টিকিট বিক্রি করার বরাত পাওয়া বৃদ্ধ সত্য প্রিয় দাস।

তবে এবার আরো ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, আজ চার দিন ধরে নাকি সব স্টেশনে যাওয়ার টিকিট নেই সেখানে এমনই অভিযোগ রেলযাত্রীদের।

গত দুদিন আগে গাংনাপুর থেকে বিশ্বজিৎ পাল নামে এক ব্যক্তি পরিবারের পাঁচজন সদস্য নিয়ে শান্তিপুর থানার মোড় নিবাসী নিকট আত্মীয় অজয় পাল এর বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে বাথনা কৃত্তিবাস স্টেশনে আসেন। কিন্তু আজ ফিরে যাওয়ার সময় । বাথনা রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা এক কর্মীর সাফ কথা, আমাদের সাপ্লাই না দিলে আমরা দেবো কোথা থেকে!
যদিও ওই পরিবার প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও করেন পরবর্তীতে টিকিট পরীক্ষক কে অন্তত সেই প্রমাণ দেখিয়ে ফাইনের হাত থেকে রেহাই পান। তবে তাদের নিকট আত্মীয় শান্তিপুরের বাসিন্দা অজয় পাল প্রশ্ন তোলেন, বর্তমানে ঘোড়ালিয়া থানার মোড় সহ বাথনা রেলস্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণ বেশ কিছু এলাকা থেকে এখন এই রেলওয়ে স্টেশনের ভরসা করেন অনেকেই, কিন্তু কোনরকম নোটিশ ছাড়াই এভাবে পরিষেবা বিঘ্নিত করা ঠিক নয় ,অবিলম্বে রেল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিক বলেই দাবি করেন।
অন্যদিকে শান্তিপুর শিয়ালদা শাখার রেলযাত্রী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয় তারাও সত্য প্রিয় দাস নামে স্থানীয় বাসিন্দা টিকিট বিক্রির বরাত পেয়েছেন তার ক্ষেত্রে যাত্রীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহারসহ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা অভিযোগ হিসাবে যাত্রীদের কাছ থেকে শুনেছেন বেশ কিছুদিন আগে সে ব্যাপারে রেল কর্তৃ প্রকাশনা কথাও বলেছেন কিন্তু তারা চেয়েছিলেন প্রমাণ। তবে আজকের ভিডিও থেকে তা পরিষ্কার হবে। তবে ভেন্ডিং মেশিন বসানো যায় কিনা সে ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে বলেই জানিয়েছেন শান্তিপুর শাখা রেল যাত্রী সমিতির সভাপতি নিখিল মজুমদার।
যদিও এ ব্যাপারে অভিযুক্ত টিকিট বিক্রির বরাত পাওয়া সত্য প্রিয় দাসের স্ত্রী ডলি দাস জানান তারা নিয়মিত সাপ্লাই পাচ্ছেন শান্তিপুর স্টেশন বুকিং ডিপার্টমেন্ট থেকে অথচ শান্তিপুরের স্টেশন মাস্টার তুষার কান্তি দে এবং বুকিং ডিপার্টমেন্ট থেকে কুমার হেমব্রম জানাচ্ছেন তাদের কাছে দিগনগর এবং বাথনা এই দুটি স্টেশনে টিকিট বিক্রি কন্টাক্টর যা লিস্ট করে দেন তা নিয়মিত দিয়ে দেন তারা। উনারা যদি কাজের গাফিলতি করে চাহিদা অনুযায়ী তালিকা না দেন তাহলে আমরা কিভাবে টিকিট দেবো?
প্রশ্ন একটাই, যেখানে অমৃত মহোৎসব কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশন ঢেলে সাজানো হচ্ছে সেখানে তার আগের স্টেশন এ বেহাল দশা কাটবে কবে? রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে তারা মোটা টাকা ফাইন দিতে যাবেন?