অবতক খবর,৩০ মে: প্রায় কয়েক বছর পর আজ আবারো শ্যামনগরে জনসভা করতে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ৩০শে মে,সোমবার শ্যামনগরে সংঘঠিত হতে চলেছে সুবিশাল জনসভা। আর এই জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জনসভাকে কেন্দ্র করে বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই মুখে মুখে ঘুরছিল যে, আজকের এই সভায় বহু বিজেপি নেতা কর্মীরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যোগদান করবেন। কিন্তু সূত্র মারফত জানা গেছে, আজ এই জনসভায় কোন যোগদান হচ্ছে না। কিন্তু যারা যারা যোগদান করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন তাদের কি হবে?? এখন এই প্রশ্ন উঠে গেছে।
যারা এতদিন ব্যক্তি রাজনীতি করতো অর্থাৎ অর্জুন সিংকে দেখে যারা রাজনীতি করতো তাদের নাকি আজ যোগদান করানো হবে। এই সকল কথাই মুখে মুখে ঘুরছিল এতদিন। কিন্তু তাদের এই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বরা। অর্জুন সিং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যোগদান করেছেন সেই বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু বাকি সাধারণ বিজেপি কর্মীরা যারা ব্যক্তি রাজনীতি করেন,তাদের আজ যোগদান করানো হবে না। সূত্রের খবর, তাদেরকে নিজ নিজ বিধানসভার বিধায়কের হাত ধরেই যোগদান করতে হবে।আরো জানা গেছে যে, আজকের এই সভামঞ্চে নাকি স্থান পাবেন অর্জুন সিং। কিন্তু আজ মঞ্চে শুধুমাত্র থাকছেন জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক, চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ,মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, এমনই সূত্রের খবর। অর্থাৎ মঞ্চে কোনভাবেই জায়গা হচ্ছে না অর্জুন সিং-এর। তবে ঠিক কি ঘটতে চলেছে আজকের এই জনসভাকে কেন্দ্র করে,তা আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এছাড়া আগামী দিনে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি কিভাবে এগোবে তা আজকের এই জনসভার পর অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তবে অদ্ভুতভাবে আজ যারা ভেবেছিলেন যোগদান করবেন, তারা স্থানীয় নেতৃত্বদের বাদ দিয়েই নিজেদের নেতা মনে করতে শুরু করেছিলেন। এই বিজেমূলদের কি হবে? সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব থেকে নির্দেশ এসেছে যে,তাদেরকে স্থানীয় নেতৃত্বরাই যোগদান করাবেন এবং তাদের আগামীতে সাধারণ কর্মী হয়েই থাকতে হবে।