অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোটের আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। এর মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আদালতে গিয়েও স্বস্তি পেলেন না বিরোধী দলনেতা । রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।পুলিশের নোটিস অনুযায়ী শুধুমাত্র নিজের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যেই শুভেন্দুর গতিবিধি সীমিত রাখার কথা বলা হয়।ওই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আসেন শুভেন্দু। আদালতের পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে কোন ভুল নেই, তাই আদালত হস্তক্ষেপ করবে না, এমনই মন্তব্য বিচারপতির।
প্রসঙ্গত, কাঁথি পুলিশের চিঠিকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে যান শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু কাঁথি পুলিশ যা করেছে তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এই চিঠি দিয়ে আসলে কাঁথি পুলিশ তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। আজ বেলা ১টায নাগাদ বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি ছিল। যদিও কয়েকদিন আগে প্রত্যেকটি জেলায় নির্বাচনী অফিসার এবং জেলাশাসককে রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, রাজ্য অথবা কেন্দ্রের নিরাপত্তা পান এমন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নিজের বুথের বাইরে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। কিন্তু প্রার্থীর ক্ষেত্রে এই কড়াকড়ি ছিল না।
বৃহস্পতিবার কাঁথি থানা থেকে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন নিজের এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যাওয়া যাবে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত জানান হয়। তারপর শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। গতকাল, বৃহস্পতিবার কাঁথি থানার পুলিশ শুভেন্দু অধিকারীকে এই নির্দেশের কথা একটি চিঠি মারফত জানিয়ে দেয়। নির্বাচনের দিন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির রাজনৈতিক গতিবিধি কেমন থাকা উচিত চিঠি দিয়ে তা মনে করিয়ে দিতেই আদালতের দ্বারে শুভেন্দু।
অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে চিঠি দিয়ে মনে করিয়ে দেয় কাঁথি থানা। যা মানতে নারাজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে এমন জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তারক্ষীর গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হবে বলেও জানানো হয়। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পুলিশ–প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। তাকে চ্যালেঞ্জ করেই আজ আদালতে শুভেন্দু অধিকারী।