অবতক খবর,২২ সেপ্টেম্বর: লকডাউন প্রায় উঠেই গেছে কাঁচরাপাড়া অঞ্চল থেকে। আনলক-৪ চলছে। দোকানপাট খুলে গেছে। সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সমস্ত দোকানপাটই খোলা থাকছে। তেমন বাধানিষেধ আর নেই। কেবলমাত্র বাধা-নিষেধ রয়েছে গ্রাহক,কর্মচারী, দোকানদার প্রত্যেককেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, দোকানে যথাযথ স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রশাসনিকভাবেও নজরদারি শিথিল হয়ে গেছে। বহু মানুষ মাস্ক ছাড়া রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষের দিকে তেমন সক্রিয় নজরদারি আর নেই।

এদিকে শারদ মরশুম এসে গেছে, কেনাবেচা চলছে। ফলত গান্ধী মোড় থেকে স্টেশন পর্যন্ত রাস্তায় দুইধারে হকার তো বসে গিয়েছেই এবং গাড়ির গ্যারেজও হয়ে গিয়েছে। যান চলাচল এবং যাত্রী চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। হকাররা রীতিমতো তাদের দোকানের ছাউনি পর্যন্ত করে ফেলেছেন। লকডাউন পিরিয়ড, মানুষের রুজি-রোজগার নিশ্চিত জরুরি। কিন্তু বর্তমান যা অবস্থা সেটির দিকে কোন নজরদারী নেই।

আয়ল্যান্ডের মাঝে মাঝে টার্ন নেওয়ার জন্য যে ফাঁকা জায়গাগুলো ছিল সেখানেও সমস্ত বাইক, সাইকেল দাঁড়িয়ে জট পাকিয়ে দিচ্ছে। এতে জনগণের অসুবিধা হচ্ছে।

 

পৌর প্রশাসক সুদামা রায় পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, বর্তমানে পৌরসভার দায়িত্ব কেবল মাত্র জল, স্বাস্থ্য আর মানুষের পরিষেবা। কিন্তু রাস্তাঘাটের দুরবস্থা, এর প্রশাসনিক দায়িত্ব অর্থাৎ যানজট এসব দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের। পুলিশ প্রশাসনেরও কিন্তু সেদিকে কোন নজর নেই। সেদিকে পৌর প্রশাসনিকভাবেও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নাগরিকদের এই যে যাতায়াতের অসুবিধা সে ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা হচ্ছে না।

পৌর প্রশাসক জানান, এটি দেখভালের সম্পূর্ন দায়িত্ব থানা প্রশাসনের। তারাই পেট্রোলিং দেবে, তারাই নজরদারি করবে।