অবতক খবর,১৫ সেপ্টেম্বর: বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের পালা চলছে। বিশ্ব মাতব্বররা মিলে যে রাষ্ট্রসংঘ তৈরি করেছে সে এ বিষয়ে নিশ্চুপ।
আমেরিকায় কৃষ্ণবর্ণ মানুষের আন্দোলন চলছে। মানবাধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে ব্রাজিলে। পোল্যান্ডে চলছে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলন। ভারতবর্ষেও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনে পিছিয়ে নেই।
কিন্তু ভারতীয় গণতন্ত্র বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হলেও সে তার প্রমাণ রাখছে কলঙ্কজনক ভাবে। বিভিন্ন অজুহাত তেমন রাষ্ট্রদ্রোহিতা, দাঙ্গায় ইন্ধন জোগানোর অজুহাত দেখিয়ে দেশের বুদ্ধিজীবীদের জেলে আটক করে রাখা হয়েছে। অশীতিপর জনকবি ভারভারা রাও করোনাগ্ৰস্ত হয়েছেন। তবুও তার মুক্তি নেই। ভারতবর্ষ জুড়ে চলছে চার্জশিট,গ্ৰেপ্তারি সমন জারি। ইতিমধ্যেই ১২ জন মানবাধিকার কর্মী গণতন্ত্র রক্ষায় যারা সক্রিয় আন্দোলনে মেতেছেন তাদের গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। সিপিএমের সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সহ ৫ জন বুদ্ধিজীবীকে দিল্লির দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার কর্মী জেএনইউ ছাত্রনেতা উমরখালিদ গ্রেফতার হয়ে গিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী এই যে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের চেষ্টা চলছে সে ব্যাপারে রাষ্ট্রসংঘ নিশ্চুপ। অথচ তারা বিশ্ব গণতান্ত্রিক অধিকার দিবস পালন করে চলেছেন।
দুনিয়া জুড়ে গণতন্ত্র হরণ।
আজ নাকি বিশ্ব গণতন্ত্র বরণ!
বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত
বেচে দিচ্ছে দেশ।
কী তার রাষ্ট্রীয় গর্ব–
মানুষের অধিকার খর্ব।
রাষ্ট্রের সংহারী বেশ।
রাষ্ট্রসংঘ সে বেলা নিশ্চুপ।
বছর বছর জ্বলছে দিবস পালনের ধূপ।
ধূপ তো পুড়ে ছাই—
গণতন্ত্র! গণতন্ত্র!
চলো জয়ঢাক বাজাই।