অবতক খবর,সুমিত,১৮ এপ্রিল:: আইনজীবীদের এজলাস বয়কটের জেরে অনিশ্চয়তার মধ্যে রাজ্যের স্কুল শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার ভবিষ্যত। আজও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করছেন একদল আইনজীবী। তবে হাইকোর্টের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা চেষ্টা করেন বিচারপতি।
কবে আইনজীবীদের একাংশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবেন, তা নিয়ে চরম ধোঁয়াশা রয়েছে। এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলাগুলির ভবিষ্যত্ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
কারণ এমনিতেই কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন এজলাসে লক্ষ লক্ষ মামলা বিচারাধীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
গত কয়েকদিনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে একের পর এক মামলা কলকাতা হাইকোর্টের তালিকায় থাকলেও সেই মামলাগুলির শুনানি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। এই ধরনের ঘটনায় বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলেই মনে করছেন হাইকোর্টের আইনজীবী মহলের একাংশ।
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির একের পর এক মামলায় কখনও সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ, কখনওবা সিবিআই তদন্তের নির্দেশে জেরবার হয়েছে রাজ্য সরকার। যার প্রতিফলন স্বরূপ হাইকোর্টের ১৭ নম্বর এজলাস বয়কট আইনজীবীদের একাংশের।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আইনজীবী সংগঠনের কর্মকর্তা, বর্ষীয়ান আইনজীবী চন্ডীচরণ দে সহ প্রবীণ আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আসুন, না হলে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। সরকারি আইনজীবীরা না এলে বিচারপ্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আপনাদের সাথে আমার কোনও দ্বন্দ্ব নেই। দেখুন, যাতে ঝড়বৃষ্টি কমে যায়। আমি তো কোনও খারাপ ব্যবহার করিনি। সমস্ত সরকারি আইনজীবীদের অনুরোধ করছি, তাঁরা যেন যোগদান করেন। না হলে বিচার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। আপনারা বুঝিয়ে বলুন আইনজীবীদের। আমি আমার জন্য বলছি না। আমি আবারও বলছি আমার সাথে কারও ব্যক্তিগত বিরোধ নেই।
চন্ডীচরণ দে বলেন, আপনার বিরুদ্ধে বারের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আপনার রায় ডিভিশন বেঞ্চ ভয় পাচ্ছে। কেউ মামলা নিচ্ছে না। তবে বারের বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমার মনে হয় না ডিভিশন বেঞ্চ ভয় পাচ্ছে। বেঞ্চের বিচারপতিরা আমার থেকে অনেক সিনিয়র। তাঁদের সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা কিন্তু এমন কোনও কথা আমায় বলেননি।