( আজ প্রথম পর্ব )
বিনয় ভরদ্বাজ :: অবতক খবর :: ২২শে,ডিসেম্বর :: কোলকাতা :: এন আর সি ও সি এ এ এ নিয়ে সারাদেশ তোলপাড় হচ্ছে রাষ্ট্রের সম্পত্তি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে । উত্তরপ্রদেশের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আন্দোলন আন্দোলনকারীদের ।
যদিও পুলিশ গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে । অসম পশ্চিমবঙ্গ ত্রিপুরা দিল্লি ইউপি ঝাড়খন্ড সহ বিভিন্ন রাজ্যে সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে আন্দোলন স্তব্ধ করতে চেষ্টা করছে কিন্তু এতসব আন্দোলনের অগ্নিসংযোগ গ্রেফতারের পরেও বিজেপি সরকার দেশে এন আর সি ও সি এ নিয়ে বদ্ধপরিকর
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ প্রতিদিন বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে হুংকার দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছেন এনআরসি আমরা করবই। বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াবোই।
দিলীপ ঘোষ জানান এক কোটি বাংলাদেশী বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন। আরো এক কোটি বাংলাদেশী সারাদেশে বেআইনিভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকছেন অর্থাৎ মোট 2 কোটি বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে বসবাস করছেন । তাদেরকে আমরা তাড়িয়েই ছাড়বো বলে পরিষ্কার দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ।
অন্যদিকে এনআরসির প্রতিবাদে সারাদেশে আগুন জ্বলছে । প্রতিদিন বিক্ষোভ কর্মসূচি অবস্থান ধর্মঘট চলছে । মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ভাবছেন এটি তাদের বিরুদ্ধে আইন তাই তারা সারাদেশে বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন । কিন্তু যতটা না মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ভুক্তভোগী হবেন তার চেয়ে অনেক বেশি হিন্দু বাংলাদেশি এদেশ থেকে বিতাড়িত হবেন তা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার।
তবে অনেক বাংলাদেশী বিশেষ করে মতুয়া সমাজের মানুষ আনন্দিত রয়েছেন এই ভরসায় যে তারা যেহেতু হিন্দু তাই সি এ এ আইনের জন্য হিন্দু বলে এই দেশ থেকে বিতাড়িত হবেন না এটাই তাদেরকে বোঝানো হচ্ছে । তাই মাঝে মাঝেই অমিত শাহকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে কোন হিন্দু এদেশ থেকে বিতাড়িত হবেন না, তাদের নাগরিকত্ত্ব দেওয়া হবে।
তবে এটা ঠিক যে সি এ এ ও এন আর সি তে হিন্দুদের জন্য সরকার ছাড় দিয়েছে । তবে সেসব হিন্দুদের জন্য যারা এদেশে আইনি পথে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে প্রতারিত হয়ে এসেছেন। অর্থাৎ পরিষ্কার কথায় বলতে গেলে যারা বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশ থেকে ধর্মীয় কারণে প্রতারিত হয়ে এই দেশে আইনি পথে এসেছেন, বসবাস করছেন দীর্ঘদিন ধরে তাদেরকেই নাগরিকতা দেওয়া হবে বলে পরিস্কার জানানো হয়েছে ।
তবে যেসব হিন্দু বাঙালি যারা অনুপ্রবেশ করে বা ঘুষপাইথিয়া হিসেবে তারকাঁটার বেড়া পেরিয়ে এদেশে এসেছেন তারা এই সি এ এ আইনের কোন লাভ পাবেন না। এই প্রমাণ সেসব দু’কোটি বাংলাদেশীদের কাছে নেই, যারা বাংলাদেশ থেকে তারকাঁটা পার করে এই দেশে চলে এসে বসবাস করছেন তাই সেইসব বাংলাদেশীদের এই দেশ ছাড়তে হবে বা ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার এর পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশিকা জারি করে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে কারা ভারতের এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করা ভারতীয় নাগরিক বা কারা ভারতীয় নাগরিক নন । সেই সম্পর্কে জানতে আসুন দেখে নেই আমি আপনি কে ভারতীয় নাগরিক নাকি ভারতীয় নাগরিক না আসুন দেখে নেব ।
আমি আপনি আসলে কে ? ভারতীয় নাগরিক না বিতাড়নের অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশী জানতে পড়ুন দ্বিতীয় অংশ