অবতক খবর,১০ সেপ্টেম্বরঃ ফের বর্ধমান থানার বড়সড় সাফল্য ছিনতাই করা ১৫টি মোবাইল উদ্ধার করলো বর্ধমান থানা।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন বর্ধমান শহরের শাঁখারী পুকুর এলাকায় জিলাপি বাগানের বাসিন্দা কলেজ ছাত্রী আঁখি মন্ডল টোটো করে যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় এক যুবক বাইক নিয়ে চলন্ত টোটো তে বসে থাকা ওই কলেজ ছাত্রীর হাত থেকে মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। এই ঘটনায় বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীর পরিবার। তড়িঘড়ি এই ঘটনার তদন্তের নামে বর্ধমান থানার পুলিশ। ওই এলাকার নিকটবর্তী সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্থানীয় মানুষজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বর্ধমানের কাঞ্চননগরের বাসিন্দা রাজেশ রায় নামে এক মোবাইল ছিনতাইকারীর হদিস পায় পুলিশ। এই যুবকের প্রধান কাজ হল রাস্তায় যে সমস্ত মানুষজন কানে ফোন নিয়ে চলাচল করে তাদের হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে চলন্ত বাইকে করে চম্পট দেওয়া। এই মোবাইল ছিনতাইকারী রাজেশ রায় সমস্ত মোবাইল যে ব্যক্তিকে বিক্রি করতো তার নাম বাবলু চৌধুরী তিনি বর্ধমানের বেলকাশের বাসিন্দা। এদের দুজনকেই গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে ১৫ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ।
তাদেরকে শনিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ। এই বিষয়ে ডিএসপি টু রাকেশ কুমার চৌধুরী জানান,গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগ জমা পড়ে বর্ধমান থানায়, বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে এক কলেজ ছাত্রীর মোবাইল ছিনতাই হয়। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ স্থানীয় মানুষজনদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রধান অভিযুক্ত মোবাইল ছিনতাইকারী বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগরের বাসিন্দা রাজেশ রায় এবং এই সমস্ত মোবাইলগুলি যাকে বিক্রি করতো বেলকাশের বাসিন্দা বাবলু চৌধুরী এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে 15 টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। এদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দুজনকে বর্ধমান আদালতে পাঠিয়ে ৭দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন । চেয়ে ।এর সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত পরবর্তী সময়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা সম্ভব হবে।