অবতক খবর,১৮ সেপ্টেম্বর: পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত আগস্ট মাসের ৭ তারিখ চমকপুর গ্রামের ঠিকাদার মুরসালীমের সাথে জামিরুল ইসলাম রাজমিস্ত্রি কাজে গিয়ে ছিলেন উড়িষ্যায়। ঠিকঠাক মত কাজ কাম চলছিল। গত দুইদিন আগে তার স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা হয়। মোবাইলে রিচার্জ না থাকার কারণে গত দুইদিন ধরে তার সাথে আর কোন যোগাযোগ হয়নি। তার বাড়িতে হটাৎ ফোন আসে জামিরুল শেখের মৃত্যু হয়েছে। শুনে পরিবারের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সদস্যরা বলেন এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। কারণ তার মাথার ডান সাইডে একটি জোরালো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ধরনের ঘটনার কে বা কারা ঘটালো তা নিয়ে রাজ্য সরকার এবং আইননুগো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছি। শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে লালগোলা বিধায়ক মোহাম্মদ আলীর সাথে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল। সাথে সাথে তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় অসংগঠিত শ্রমিকরা যে কোন ঠিকাদারের সাথে চলে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ না হয়ে, তার ফলেই এই ধরনের দুর্ঘটনা গুলি ঘটছে। আগামী দিনে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার প্রত্যেকটি শ্রমিককে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান। এই নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কান্নার রোল, শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবার জুড়ে।