অবতক খবর,দীনেশ চন্দ্র কুইরী,পুরুলিয়া,৪ জানুয়ারি:- প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনায় যোগ্য ব্যাক্তিদের বাড়ি পাওয়ার দাবী জানিয়ে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের পঁড়া গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই গ্রামের বঞ্চিত কয়েকশত গ্রাম বাসীরা।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের।
ছয় দিন ধরে তালা ঝুলছে পঁড়া গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
গ্রাম ষোলআনা একাংশ গ্রামবাসীরা জানান, আমরা প্রথমে গ্রাম ষোলআনা মিটিং করে আলোচনা করা হয় আবাস প্লাস যোজনা তালিকা নিয়ে।ওই মিটিং এ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী উপস্তিত হয়নি।তাই আমরা গ্রাম ষোলআনার পক্ষ থেকে তালা লাগানো হয়।এছাড়া ওই কর্মীর দুতলা বাড়ি থাকা সত্বেও আবাস প্লাস যোজনা তালিকায় নাম রয়েছে।এমনকি এই গ্রামের মধ্য অনেকেই চাকরিজীবি তাদেরও নাম রয়েছে। কারণ যারা যোগ্য ব্যাক্তি তাদের আবাস প্লাস যোজনায় নাম থাকা সত্বেও বাতিল করা হয়েছে।এবং যাদের পাকা বাড়ি ও গাড়ি আছে বা একবার পেয়েছে তাদের নাম আছে প্রধান মন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনা তালিকায়।
পাশাপাশি গ্রাম ষোলআনার একাংশ গ্রামবাসীরা আরও জানান, আমাদের একটাই দাবি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক না আসা পর্যন্ত আমরা তালা খুলবো না।এছাড়া নতুন করে সার্ভে করতে হবে।এবং যোগ্য ব্যাক্তিদের প্রধান মন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনা তালিকায় নাম নতিভুক্ত করতে হবে।
বুধবার,ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী মালতী গরাই জানান,আমি গত বৃহস্পতিবার সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যায়।সেখানে দেখি গ্রামের পুরুষ মহিলারা কেন্দ্রের স্টোর রুমে তালা লাগিয়ে দেয়। এ বিষয়ে আমি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে বিষয়টি জানিয়েছি।অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ছয় দিন ধরে বনধ আছে। কারণ,তারা তালা লাগিয়ে দেওয়ার জন্য।এবং ওই কেন্দ্রে প্রতিদিন যায় তালা লাগানোর কারণে খুলতে পারি নাই।তাই কিছু থেকে বাড়ি ফিরে আশি।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন সমীক্ষা করাটুকুই আমাদের দায়িত্ব ছিল।নাম সংযোজন বা বিয়োজনের ক্ষেত্রে আমাদের কোন ভূমিকা নেই।দুর্ভাগ্য যে এটা কেউই বুঝতে চাইছে না।
অন্য দিকে ভারতীয় জনতা পার্টির কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি জগদীশ কুমার জানান,প্রধান মন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনা তালিকায় নিয়ে রাজ্য জুড়ে চলছে বিক্ষোভ।বাঘমুন্ডির প্৺ড়াতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্রামবাসীরা তালা লাগিয়েছে তা সত্যি। কারণ যে ভাবে সার্ভে হয়েছে তাতে শুধু বড় লোক গুলোর তালিকায় নাম রয়েছে।এবং যারা পাওয়ার যোগ্য ব্যাক্তি তাদের নাম বাতিল করা হয়েছে।এটা পুরোপুরি শাসক দলের জন্য এই অবস্থা।
এখন প্রশ্ন একটাই পঁড়া গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কি তালা খুলবে না ? তাহলে কি এমনি তেই থেকে যাবে।বাচ্চারা কি পঠন-পাঠন ও মিড মিল থেকে বঞ্চিত থাকবে ?