অবতক খবর :: বাংলা তখন ভগবান কে ডাকছে।মুখ্যমন্ত্রী কন্ট্রোল রুমে বসে নজর রেখে চলেছেন।ধেয়ে আসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা ছিল দুই ২৪ পরগনার।নিউস এ একের পর এক আপডেট।সময় টা আনুমানিক ৫টা ৩০,ল্যান্ডফল শুরু হয়ে গেলো আমফানের।শুরু হলো ঝড়ের দাপট ও বৃষ্টিপাত।

একের পর এক বাড়ির ক্ষতি হতে লাগলো, উল্টে পড়তে লাগলো গাছ।বাড়ির মধ্যে ঢুকে সবাই যখন, জানলা-দরজা বন্ধ করে বসে আছে,ঠিক সেই সময় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে হালিসহরের একটি ক্লাব “বলাকা শিশু মহল”-এ বসে শুভঙ্কর ঘোষ ওরফে সোনাই।উদ্দেশ্য একটাই হালিসহরবাসীকে রক্ষা করা,হালিসহরকে রক্ষা করা।কয়েকজন ছেলে কে নিয়ে শুভঙ্কর ঘোষ একটাই চিন্তা করছিলেন ঝড়ের দাপট টা একটু কমলেই বেরিয়ে পড়তে হবে উদ্ধার কাজে।

সময় টা ঠিক ৭টা ৩০,কার্যত তান্ডপ চলছে আমফানের।একের পর এক ক্ষয় ক্ষতির ফোন ঢুকতে থাকে শুভঙ্কর ঘোষের ফোনে।উদ্বেগ বাড়তে থাকে।সময় টা ৯টা।ঝড়ের দাপট সামান্য কম কিন্তু তখন চলছে তুমুল বৃষ্টি। না আর বসে থাকা নয়,কয়েক জন ছেলে কে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন শুভঙ্কর ঘোষ।দেখলেন একের পর এক গাছ ভেঙে পড়েছে।বহু বাড়ির ক্ষতি হয়েগেছে।নেমে পড়লেন উদ্ধার কাজে।একের পর এক গাছ সরানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সান্তনা দিতে পৌঁছে গেলেন বাড়ি বাড়ি।সেদিন রাত টা এইভাবেই কাটলো।এখানেই শেষ নয়, বাড়িতো ফিরলেনই না ,রাত দিন এক করে উদ্ধারকাজে হাত লাগালেন শুভঙ্কর ঘোষ।

যখন আমরা  শুভঙ্কর ঘোষের সাথে কথা বলি, তখন ২রাত্রি না ঘুমিয়ে তার শরীর কার্যত ছেড়ে দিয়েছে।তখনও গলার স্বর গম্ভীর করে বললেন “বহু গাছ পরে গেছে,অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে,হালিসহর-কে এই অবস্থায় দেখে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারবো না।আমি একা নই,আমার সাথে আমার ক্লাবের সদস্যরা আছে।পৌরসভার লোকজন ও রয়েছে।আপনারা সুস্থ থাকুন।”

হালিসহরের মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা,হালিসহরের প্রতি তার ভালোবাসা চোখে মুখে ফুটে উঠলো।