আমার নারীপ্রেম
তমাল সাহা
যে তো
এক)
সেই কবেই তো
হাতে হাত রেখেছি, তোমায় ছুঁয়েছি
আমি ছিলাম, আছি।

ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়েছে বেড়াল
আমি দাঙ্গাবাজ দলেরই দালাল।

দুই)
মিথ্যা শব্দটি ভাববাচক বিশেষ্য
এতে নেই কোন রহস্য–
সে পুরুষ না নারী!

জার্মানে গোয়েবলস ছিল
ভারতে আমি মিথ্যাচারী।

তিন)
আমার সঙ্গে ভালোবাসা ছিল
যোগাযোগ ছিল
আগে বললে সচেষ্ট হতাম!

সবাই জেনে ফেলেছে
না হলে চুম্বন ফিরিয়ে দিতাম।

চার)
যতই বলো রামায়ণ-মহাভারত মিথ্যা
না থাকলে দ্রৌপদী-সীতা জমতো কি মহাকাব্য?

নারী যে রাজনীতির উৎস
জয়-পরাজয় ভিন্ন কথা
তার সঙ্গেই সব গোপনতা।
নারীই তো শেখায় আমাকে
কত গভীরে আমি ডুববো!

পাঁচ)
দ্রৌপদী নামটি খুব ভালোবাসি
কৃষ্ণা নারী জনজাতি আদিবাসী।
নারী হবে ভারতের প্রথম নাগরিক
এতো সুখ সংবাদ!
হোক না তার দল সাম্প্রদায়িক!

আদিবাসী ধর্ষিতা হলে আমি ভীষণ প্রতিবাদী
সোচ্চারে বলি এটি ছোট্ট ঘটনা।
এসবই বিরোধীদের রটনা
এখানে বলাৎকার হয়, ধর্ষণ হয় না।