অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। ঝড়েছে তিনটে তাজা প্রাণ। ভাঙড় বিধানসভা যাদবপুর লোকসভা আসনের মধ্যে পরে। বিগত কয়েকদিন ধরে ভাঙড় অশান্তির আগুনে জ্বললেও টিকিটিও পাওয়া যায়নি অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর। শনিবার অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে সাংসদ বলেন, ‘যারা মারপিট করে, দাঙ্গা করে তাদের পাশে আমি কোনদিন ছিলাম না, থাকবও না।‘
যাদবপুরের সাংসদ আরও বলেন, ‘আমি কোনওদিনই মার-দাঙ্গা এসবের পক্ষে নেই। কোনওদিন থাকবও না। যাঁরা এগুলোকে উৎসাহ দেয় আমি তাঁদের পাশেও কোনওদিন দাঁড়ব না। আমাদের প্রশাসন গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। অনেকটা নিয়ন্ত্রণও হয়েছে। আমি সাধরণ মানুষকে বলব একটা ভোটের জন্য এই জিনিসগুলি না করতে। এটাই আমার তাঁদের প্রতি বার্তা। সবাই সুস্থভাবে ভোট দিন। যাঁরা কাজ করেছে, যাঁরা সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে ছিল তাঁদের ভোট দিন। আসলে মার-দাঙ্গা করে কোনওদিন কিছু হয়নি। হবেও না। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি সবসময় চাই সব কিছু শান্ত থাকুক।‘
তৃণমূল সাংসদ শান্তির বার্তা দিলেও এদিনও ভাঙড়ের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। চলে রাস্তা অবরোধ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।