অবতক খবর,১৮ মে: আম” জাম” কাঁঠাল” লিচু” এই চারটি শব্দের মিলন যুগ যুগ ধরে। বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই আম বাঙালির মুখে মুখে এই চারটি ফলের নাম সদা সর্বদায় লেগে থাকে, কিন্তু এ বছর পারিবারিক বিবাদের মতই চারটি ফলের অনেকটাই ভেদাভেদ লক্ষ করা যাচ্ছে। এবছর বাঙালির প্রিয় আমের ফলন খুবই কম তাই,আম বাঙালির হাতের নাগালের বাইরে। আমের পাশাপাশি লিচুও কম যায় না, বাঙালির মনে লিচু অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছে আমের মতই।
সকালে উঠেই হাতে ব্যাগ নিয়ে বাজারে গেলে সবকিছু কেনার পরে মনে হয় ওই লিচু বুঝি পিছু ডাকে। এবছর লিচুর স্বাদ থেকে বঞ্চিত একেবারেই নয় বাঙালি, সাধ্যের মধ্যে লিচুর দাম, তাই আম এবছর বাঙালির হাতের নাগালের বাইরে থাকলেও লিচু কিন্তু বাঙালির হাতের মুঠোয়। নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক লিচু বাগানে এবার লিচুর ফলন যথেষ্টই, প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, তাও আবার লোকাল বাজারদরে। লিচু বাগানিরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর লিচুর ফলন একটু হলেও বেশি, বাঙালির হাতের মুঠোয় সাধের লিচুকে পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যে হাজার হাজার লিচু পাড়ি দিয়েছে বিভিন্ন বাজারে।
তবে রসিক বাঙালির কাছে লিচু তিনটি নামে পরিচিত, দেশীয় লিচু, বোম্বাই লিচু, ও আতা লিচু। যদিও তিনটি নামকরণের লিচু গঠন চরিত্রেও অনেকটাই আলাদা। এক লিচু বাগানী মদন হালদার জানিয়েছেন, এবছর লিচু কিনতে বাইরের লিচু ব্যবসায়ীরা অন্যান্য বছরের তুলনায় চাহিদামত ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছেন। আর লিচু ব্যবসায়ীদের চাহিদা পূরণ করতে নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক শ্রমিক দিনরাত এক করে কাজ করছে। সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত বৈদতিক আলো জ্বেলে চলছে লিচুর প্যাকিং তৈরীর কাজ। এবছর লিচুর ফলন বেশি হওয়ার কারণে লাভ অংশ যেমন খুঁজে পাচ্ছেন লিচু বাগানিরা, ঠিক তেমনি লাভ অংশ খুঁজে পাচ্ছেন লিচু ব্যবসায়ীরাও আর তাতেই দিনমজুরদের কাজের চাহিদাও বাড়ছে।