অবতক খবর,৬ অক্টোবর: গত ৪ঠা অক্টোবর রাত নটা নাগাদ নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে ব্যারাকপুরের দাপুটে বিজেপি নেতা মণীষ শুক্লাকে। আর এরপর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে গোটা ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি নেতা কর্মীরা ৫ অক্টোবর, সোমবার ১২ ঘন্টা বন্ধের ডাক দেন ব্যারাকপুর মহাকুমায়।

অন্যদিকে এই ঘটনার পরেই একের পর এক বিজেপি নেতা দাবি করেন,মণীষ শুক্লা হত্যাকাণ্ড পূর্ব পরিকল্পিত এবং এর পেছনে তৃণমূলের যোগ রয়েছে।

কিন্তু এই খুনের ঘটনায় দানা বাঁধতে শুরু করেছে রহস্য।
রাজনৈতিক মহলের একটু গভীরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অন্য কাহিনী।

শোনা যাচ্ছে,মণীষ শুক্লা বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পরিকল্পনা করছিলেন। যার কারণে যোগাযোগ রাখছিলেন একাধিক তৃণমূল উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গেও।

যদিও এই খুনের ঘটনায় কেউই সরাসরি মুখ খুলতে চাননি। উল্টে বিজেপি যে অভিযোগ করেছে তৃণমূলের উপর,তা সরাসরি নাকচ করেছেন তৃণমূল নেতারা।

 

কিন্তু মণীষ শুক্লা হত্যাকাণ্ড নিয়ে এবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “মণীষ অত্যন্ত ভালো এবং পরোপকারী একজন মানুষ ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। তিনি বিজেপি ছাড়তে চাইছিলেন। তাঁকে জোর করে বিজেপিতে রাখা হয়েছিল। যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল।”

অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য আরও ঘনীভূত করে বলেন,”মণীষ খুনের কিছু আগেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সাথে ফোনে কথা হয়েছিল অর্জুনের। এরপরই অর্জুন কলকাতায় চলে যায়। কী এমন জরুরি কথা হয়েছে খুনের ঠিক আগে?”

তাঁর এই বক্তব্যের পর এই হত্যাকাণ্ডে অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।

উল্লেখ্য, মণীষ শুক্লার সঙ্গে তাঁর ৭ জন দেহরক্ষী সর্বদাই থাকতেন। কিন্তু যে সময় এই ঘটনা ঘটে তখন কোনও দেহরক্ষীই তাঁর কাছে ছিলেননা। এমনকি মণীষ শুক্লার ২ জন সশস্ত্র দেহরক্ষী নাকি রবিবার থেকেই সাতদিনের ছুটি গিয়েছেন।

এই ঘটনা কাকতালীয় না পূর্ব পরিকল্পিত? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনার তদন্তভার পড়েছে সিআইডির হাতে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তবে ঠিক কি কারণে প্রাণ গেল দাপুটে বিজেপি নেতা মণীষ শুক্লার? কি রহস্য রয়েছে এর পেছনে? এটা কি বিজেপির অন্তর্কলহ নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন রাজনৈতিক কারণ?
প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।