অবতক খবর,৭ আগস্টঃ বিনামূল্যে বাংলার মানুষ যাতে বেসরকারি হাসপাতাল–নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে পারেন তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে এসেছেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। এটা মেডিক্লেম, কিন্তু রাজ্য সরকারের। বাংলার মানুষজনকে এই মেডিক্লেমের প্রিমিয়াম দিতে হয় না। বরং এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পাওয়া যায়। এবার স্বাস্থ্যসাথী নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। শহর থেকে গ্রামবাংলার মানুষজন এই কার্ডে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়েছেন। আর তার টাকা গুনেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

ঠিক কী ঘটেছে স্বাস্থ্যসাথীতে?‌ নবান্নের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৬ বছরে সম্পূর্ণ বিনা খরচে চিকিৎসা পেয়েছেন বাংলার প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষজন। আর এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত। এই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসতেই নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বলে মনে করা হচ্ছে। এখন এই প্রকল্প আরও বিস্তার করতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোনও বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করলে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম, হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

রাজ্য সরকার কি আরও উদ্যোগ নিচ্ছে? স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে সম্প্রতি বিধানসভার বাদল অধিবেশনে বক্তব্য রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়‌ চলতি অর্থবর্ষ থেকে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ খাতে রাজ্য সরকার আরও খরচ বৃদ্ধি করবে। ২০২২–২৩ অর্থবর্ষে প্রত্যেক মাসে দেড় লক্ষ রোগীর ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের’ বিল মেটাত রাজ্য সরকার। এবার নতুন অর্থবর্ষে মাসে ১০–১৫ কোটি টাকা বাড়তি খরচ করা হচ্ছে বলে খবর। এখন উপভোক্তা বেড়েছে গড়ে ২০ হাজার। তাই রাজ্য সরকারের বছরে খরচ ৩ হাজার কোটি টাকা ছোঁবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্যভবন। শুধু ৯ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৫০০ কোটি টাকাই খরচ হয়েছে ‘ক্যান্সার কেয়ার’ চিকিৎসায়। টাটা মেডিক্যাল সেন্টারেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হয়েছে। যা সত্যিই মাইলফলক।