রে মানুষ! তুই যাবি কোথায়?
এ কোন দেশে এলি তুই!
কত অপমানের বোঝা তোর মাথায়!
আশ্রয়
তমাল সাহা
একটা দেশ
উত্তর-পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত।
উত্তর-পূর্ব গোলার্ধ কেন?
উত্তর–বামচেতনার কথা বলে
পূর্ব–সূর্যোদয়ের গল্প বলে।
কর্কটক্রান্তি রেখা চেনো?
এই রেখার নিচে এই দেশটির
আশ্রয়।
আশ্রয় শব্দটির দিকে নজর
রাখো। দেশও আশ্রয় চায়।
কর্কট–দুঃখ-যন্ত্রণার কথা বলে
ক্রান্তি–জীবনযুদ্ধের সংকেত পাঠায়।
একটা দেশের ভূগোলেই লুকিয়ে থাকে
তার ইতিহাস,
ভূগোল ছাড়া ইতিহাস হয়না কখনো।
এই দেশটার ঐতিহ্য কি?
দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে
যাবে না ফিরে
এই ভারতের মহামানবের সাগর তীরে…
দেশ কথার তাহলে অর্থ কি?
আশ্রয়
তাহলে চল্লিশ লক্ষ বাতিল করা যায়?
একশো তেইশ কোটির মধ্যে
সে তো সামান্য মাত্র—
সহজেই মিলেমিশে যায়।
মানুষ! মানুষ! মানুষ!
শব্দটি হায়!
বায়ুমণ্ডলে ভেসে বেড়ায়…
এটা কি কোনো কবিতা হলো?
কবিতা লেখার জন্য
নান্দীমুখ গদ্য হলো
তারপর ডিটেনশন ক্যাম্পের
লজ্জা-অপমান ভেঙে চূর্ণ করে
কবিতার কেতন ওড়াবে…
আমার ভারতবর্ষ!