অবতক খবর,১৩ সেপ্টেম্বরঃ আসন্ন দূর্গা পুজো উপলক্ষ্যে সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবনে একটি জরুরি বৈঠক করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।আজকের মিটিং এর মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো আসন্ন দুর্গোৎসবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে থাকে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা – এর জন্য যেগুলি বিশেষ প্রয়োজন সেগুলি হল
১. তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলিতে যথাযথ পরিমাণে কয়লা সরবরাহ করা
২. রেলের মালগাড়ির সাহায্যে খনি থেকে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রে সময় মতো কয়লা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা এবং
৩. বিদ্যুৎ সংবহন ও বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখা
কোল ইন্ডিয়া কোম্পানির ও রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং এ ব্যাপারে তারা বিদ্যুৎ দফ্তরকে আশ্বস্ত করেছেন। NTPC ও Power গ্রিড এর অফিসারগণ জানিয়েছেন তারা এই রাজ্যের প্রাপ্য বিদ্যুৎ তারা দেবেন।বিদ্যুৎ সংবহন ও বণ্টন কোম্পানির আধিকারিকরা সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন যাতে কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহের বিঘ্ন না ঘটে, CESC এর আধিকারিকগণ জানিয়েছেন কলকাতা শহরে উৎসবের সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য সবরকম ব্যবস্থা তারা করছেন।
আসন্ন শারোদৎসবের কি কি প্রস্তুতি থাকছে সেগুলো হলো……
১) আসন্নপুজোর মরসুমে দিবা-রাত্রি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার জন্য ৩৩৫৭টি মোবাইল ভ্যান নিয়োজিত করা হচ্ছে।
2) বিদ্যুৎ পরিবারের মোট ৭১৭৯২ জন স্থায়ী ও ঠিকাকর্মী এই পুজোর সময়ে পরিষেবার দেওয়ার কাজে যুক্ত থাকবেন ।
৩) সমগ্র রাজ্যে পুজোর এই মরসুমে বিদ্যুৎ পরিষেবা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ভবনে ২৪x৭ কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে যার নম্বর হলো ৮৯০০৭৯৩৫০৩/৮৯০০৭৯৩৫০৪ । এছাড়াও সমস্ত জোনাল কল সেন্টারে ১৯১২১ টোল ফ্রী নম্বরটি সচল থাকবে পরিষেবা সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ জানানোর জন্য।
8) যেকোনো আপৎকালীন সমস্যা মোকাবিলার জন্য সমস্ত রিজিওনাল ম্যানেজার এবং ডিভিশনাল ম্যানেজাররা সর্বদা সতর্ক থাকবেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন।
৫) পুজোর সময়ে যেকোনো রকমের অপ্রীতিকর দুর্ঘটনা এড়াতে সমস্ত রকমের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে এবং পুজো কমিটি গুলির কাছ থেকেও এই মর্মে আদর্শ নির্দেশিকা অনুযায়ী একটি ঘোষণাপত্র নেওয়া হচ্ছে।
৬) আসন্ন পুজোর কথা মাথায় রেখে প্রাক-পুজো রক্ষণাবেক্ষনের কাজ ইতিমধ্যেই সর্বত্র পূর্ণ কদমে চলছে এবং তা এই মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে আশা করা যায়।
৭) পুজোর সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত পরিমানে যন্ত্রপাতি
ও কারিগরী সামগ্রী মজুত আছে। যেমন- বিদ্যুতের পোল, তার, ট্রান্সফরমার, HT & LT কেবল ইত্যাদি।
৮) ২০১১ সালের নিরিখে ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ ও লোডের পরিমাণ যথাক্রমে ১১২% এবং ৩০৪ % বৃদ্ধি পেয়েছিলো ( WBSEDCL এলাকায় ২০২২ সালে দুর্গাপুজোয় ৪৪,৪৭৮ টি অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিলো, যা সর্ব- কালীন রেকর্ড)। এবছরে এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
৯) যেখানে গতবছর পুজোর সময়ে রাজ্যের সামগ্রিক বিদ্যুৎ চাহিদা ছিলো ৯৮৬১ মেগাওয়াট, সেখানে এবছর পুজোর সময়ে বিদ্যুতের আনুমানিক চাহিদা ১০,০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।
১০) রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই বছর রাজ্যের সমস্ত পুজো প্যান্ডেলে বিদ্যুতের বিলে ৬৬% ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
আজকের মিটিং-এ উপস্থিত ছিলেন
পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন লিমিটেড,ডিভিসি,
সি ই এস সি লিমিটেড (এমডি ডিস্ট্রিবিউশন,এমডি জেনারেল, ইডি ডিস্ট্রিবিউশন ), ইন্ডিয়ান পেট্রোকেমিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেড,ইস্টার্ন রিজিওনাল পাওয়ার কমিটি,ইস্টার্ন রিজিওনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার,ফারাক্কা থার্মাল পাওয়ার স্টেশন, এন টি পি সি লিমিটেড,ইস্টার্ন রেলওয়ে,সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে,কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড,ইস্টার্ন কোল্ ফিল্ড লিমিটেড,ভারত কুকিং কোল লিমিটেড,মহানদী কোল ফিল্ড লিমিটেড,বিদ্যুৎ দপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার,পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম (WBPDCL ),পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (WBSEDCL ),পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা (WBSETCL)