অবতক খবর , বিজু , বর্ধমান :- আসানসোলের কিশোর কুমার (দুর্গা রানা) বাড়ি পাবেন। আসনসোল পৌর কর্পোরেশন ওয়ার্ডের বাসিন্দা ১০৫ নগরীর বাসিন্দা গায়ক দুর্গা রানার জরাজীর্ণ বাড়িটি সংস্কারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন , পৌর কর্পোরেশন প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র কুমার তিওয়ারি এবং কুলটি বিধায়ক উজ্জ্বল চ্যাটার্জি।
প্রাক্তন কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্য সংবাদ পেয়েছিলেন যে গায়ক দুর্গা রানার অবস্থা খারাপ ছিল তিনি জিতেন্দ্র কুমার তিওয়ারীর কাছে এই তথ্য পৌঁছে দিয়েছিলেন। আজ দুর্গা রানা বাড়িটি মেরামত করার জন্য ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন। তার চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব নিলেন। এটি উল্লেখযোগ্য যে করোনার সংকট এবং লকডাউনের কারণে শিল্পাঞ্চলের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী দুর্গা রানা খুব ক্ষারাপ অবস্থাই বসবাস করছিলেন।
বিষয়টি জানতে পেরে পৌর কর্পোরেশন প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি তার বাড়িতে আসেন এবং শারীরিক অবস্থার খবর নেন। এর আগে জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাকে খাবার ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন। এক সময়কালে গান এবং সংগীত তার এই শিল্প অঞ্চলে বিশাল নাম ডাক ছিলো।আজ এক ঘণ্টার দুর্গা রানা একটি সুরেলা গান উপস্থাপন করে সবাইকে বিনোদন দিলেন।
এ সময় প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা মীর হাসিম, টিএমসি নেতা মহেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সুবল চক্রবর্তী, সমাধ পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এটি উল্লেখ করার মতো যে দুর্গা রানা কিশোরের কণ্ঠে গান গাইতেন , তাঁর সময়ের বিখ্যাত গায়ক ছিলেন কিশোরে কুমার। আপনি যদি চোখ বন্ধ করে শুনেন তবে আপনি অনুভব করবেন যে কিশোর সাহাব গাইছেন। তবে লক ডাউন হওয়ার কারণে কেও প্রোগ্রাম করতে পারছে না।
যা এই শিল্পীদের একটি আর্থিক অবস্থার মধ্যে দিন কাটতে ছিলো এই বার্তা পেয়ে সেই সময় জিতেন্দ্র কুমার তিওয়ারি কিছু খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান দিয়ে ছিলেন এবং আজ কে তার বাড়ী জরাজীর্ণ অবস্থাই ছিলো তা দেখে তার বাড়ীর কাজ শুরু করলেন।
জিতেন্দ্র কুমার তিওয়ারি বলেন দুর্গাদাস তার সুরিলা কন্ঠে আমাদের পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিলেন আমরা এনার পাশে তো আছি ই এছাড়াও যদি কোনো শিল্পী ও সাহিত্যিকরা বিপদে পড়ে তাহলে আমরা মমতা ব্যানার্জির সৈনিক হিসাবে সবসময় তাদের পাশে থাকবো।