অবতক খবর,২ মার্চ: বুধবার দুপুরে ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরল ডাক্তারি পড়ুয়া আর নেহা খান, জিনাত আমন । ঘরের মেয়ে ঘরে ফেরায় খুশি পরিবারের সদস্যরা। প্রশাসনের সহযোগিতাতে বাড়ি ফিরতে পেরেছি জানালো আতঙ্কিত ডাক্তারি পড়ুয়ারা। চলতি মাসের ২৪ তারিখ রাশিয়া, ইউক্রেন যুদ্ধ বেঁধে যায় । অন্যান্য ভারতীয়দের মত সেখানে আটকে শিল্পাঞ্চলের পড়ুয়ারাও । সংবাদমাধ্যমে যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে দুশ্চিন্তা ছড়ায় পরিবারে। ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে আসুক কাতর প্রার্থনা জানাই ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মা সহ পরিবারের অন্যরা ।
সব উদ্বেগ সরিয়ে অবশেষে বুধবার বিকেলে বাড়ি ফিরে অন্ডাল বিমানবন্দরে নেহা খানসহ অন্যান্য পড়ুয়ারা জানায় শনিবার সড়কপথে অন্যান্যদের সাথে সেও পৌঁছাই রোমানিয়া বর্ডারে। সেখানে রাত্রি যাপন করে রবিবার সন্ধে ছ’টায় ভারত সরকারের পাঠানো বিশেষ বিমানে দিল্লি পৌঁছে । গতকাল রাত কেটেছে দিল্লির বঙ্গভবনে। এদিন দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে দুপুর ৩টে ২৫ মিনিটে অন্ডাল বিমানবন্দরে নামে। সেখানে ফুলের মালা পরিয়ে তাকে স্বাগত জানান পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ।
সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিলেন তিনটি ছাত্রীর বাবা, মা সহ পরিবারের অন্যান্যরা । প্রশাসনের ব্যবস্থা করা গাড়িতে চেপে অন্ডাল বিমানবন্দর নিজের বাড়ি পৌঁছায় তারা । ঘরের মেয়ে অবশেষে ঘরে ফিরে আসায় খুশি পরিবারের সদস্যরা । কেন্দ্রীয় সরকারের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন,কেন্দ্রীয় সরকার পরিবর্তনের জন্য আগাম কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বারংবার যুদ্ধের আঁচ পাওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চুপ হয়ে বসে ছিলেন।কেন্দ্রীয় সরকারের এই অকর্মণ্যতার জন্য কর্নাটকের এক ছাত্রকে ইউক্রেনে প্রাণ দিতে হয়।