অবতক খবর,১৬ ডিসেম্বর: বাংলার জন্য গর্বের খবর। ইউনেসকো-র স্বীকৃতি পেল হিন্দু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। ইউনেসকো-র ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি পেল শারদোৎসব। ১৩-১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত হচ্ছে ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে ইউনেসকো-র ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’-র তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।
এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, ‘এই স্বীকৃতি প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য গর্বের ও আনন্দের। দুর্গাপুজো আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সেরা দিকগুলি আলোকিত করে। সকলের উচিত দুর্গাপুজো দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করা।’
চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতার শারদোৎসবের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন গিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিভাগে। সেই আবেদনের মূল্যায়ন করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। সেই বিচারেই এ বার ‘হেরিটেজ’ তকমা পেল পশ্চিমবঙ্গের সেরা উৎসব।
প্রসঙ্গত, শেষ বার ২০১৭ সালে এই ধরনের স্বীকৃতি পেয়েছিল কোনও ভারতীয় মহোৎসব। সে বছর কুম্ভমেলাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। তার আগের বছর ২০১৬ সালে যোগচর্চা এই স্বীকৃতি পেয়েছিল। তারও আগে ২০১৪ সালে পঞ্জাবের ঐতিহ্যবাহী পিতল এবং তামার শিল্প সাংস্কৃতিক হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এ ছাড়াও ২০১৩ সালে মণিপুরের কীর্তন গানকে হেরিটেজের স্বীকৃতি দিয়েছি ইউনেসকো৷ এর আগে ইউনেসকো-র ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইৎজারল্যান্ড, ব্রাজিল, বলিভিয়ার মতো দেশের উৎসবগুলি। এ বার সেই তালিকায় স্থান পেল পশ্চিমবঙ্গের দুর্গোৎসব।