অবতক খবর: পাটনা, বেঙ্গালুরুর পর এবার মুম্বই’য়ে বসতে চলেছে ইন্ডিয়া জোটের তৃতীয় বৈঠক। আগস্টের ২৫ ও ২৬ তারিখ বাণিজ্য নগরীতে এই বৈঠক হবে। তবে চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তৃতীয় বৈঠকের আয়োজক মূলত এনসিপি ও শিব সেনা। শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরেদের আয়োজনে সম্ভাব্য বৈঠকে অংশ নিতে যাওয়ার সম্ভাবনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এছাড়া জোটের অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীরাও যাবেন মুম্বইয়ে।
লোকসভা নির্বাচনে মোদি সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে জোটবদ্ধ হয়েছে ২৬ টি বিরোধী দল। কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ, জেডিইউ, আরজেডি, শিব সেনা, এনসিপি-সহ সবকটি আঞ্চলিক দল হাতে হাত মিলিয়েছে। তার নাম ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। ইতিমধ্যে গত ২ মাসে পাটনা ও বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করেছেন নীতীশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা। প্রথম বৈঠকটি নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে ছিল পাটনায়।দ্বিতীয় বৈঠক ছিল ১৭ ও ১৮ জুলাই, বেঙ্গালুরুতে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে সেই বৈঠকেই স্থির হয় ইন্ডিয়া নামটি। তাতেই সম্মত হন সকলে।
আর নামকরণের পর থেকেই কেন্দ্রের নিশানায় বিরোধী জোট। প্রধানমন্ত্রী থেকে বিজেপি সাংসদরা সকলেই নামটি নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছেন। চলতি বছর রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সেখানে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সিকারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগাগোড়া নিশানা করলেন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকে। ফের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সঙ্গে তুলনা করলেন। জনসভা থেকে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নাম নিয়ে মোদির মন্তব্য, ”নিজেদের পাপ মুছতে ইউপিএ হয়েছে ইন্ডিয়া। এভাবে নামবদলের খেলা চলছে। দেশের স্বার্থ নিয়ে এদের কারও কোনও মাথাব্যথা নেই।”
জনসভায় মোদি বলেন , ”শুধু নাম বদলের খেলা চলছে। যা ছিল ইউপিএ, সেটাই এখন ইন্ডিয়া। কংগ্রেস আমলে স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া বা সিমি ছিল সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। এখন তা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)। কিন্তু নাম বদলে কি আর কাজ বদল হয়? ওদের লক্ষ্য, দেশকে লুট করা। ইউপিএ বা কংগ্রেস শাসনাধীন সরকারকে সেবার মানুষ উৎখাত করে ফেলেছিল। এবারও ইন্ডিয়া জোটকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে।”